ছবি: সংগৃহীত।
চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়েই রয়েছেন সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের তুলনায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেকারির হার বেশি। আজ লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, সদ্য প্রকাশিত ২০১৭-১৮-র শ্রমিকদের সমীক্ষা বা ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ বলছে, শহরে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের বেকারির হার অনেক বেশি। গ্রামের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে মুসলিমদের ক্ষেত্রে শিক্ষা, চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের পিছিয়ে থাকাই এর কারণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আবার খ্রিস্টানরা শিক্ষায় এগিয়ে থাকলেও বেকারির হার তাঁদের মধ্যে আরও বেশি। পরিসংখ্যান মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে বেকারির হারের কারণ আলাদা। খ্রিস্টানদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার বেশি। তাই যে কোনও কাজ তাঁরা করেন না।
তুলনামূলক ভাবে কম শিক্ষিতদের মধ্যে যেমন কাজ মিলল, তেমন কাজই গ্রহণ করার প্রবণতা বেশি। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের বক্তব্য, মুসলিমদের মধ্যে রোজগারের সুযোগ বাড়াতে মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলস্রোতের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেও জোর দেওয়া হচ্ছে।