ছবি: সংগৃহীত।
সীমান্তে উত্তেজনার রেশ ফের ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে। গত জুন মাসে পণ্য পরিবাহী করিডরের বরাত বাতিলের পর এ বার চিনের সংস্থার অংশ নেওয়া ৪৪টি সেমি হাই স্পিড ট্রেনের দরপত্র বাতিল করল রেল মন্ত্রক। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত নতুন করে বরাত দেওয়া হবে। সেই দরপত্রে সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর নীতি মেনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে রেল। প্রকল্প রূপায়ণে দেশীয় সংস্থাগুলি এগিয়ে আসুক, এমনটাই চাইছে রেল।
গোড়া থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে বন্দে ভারত ট্রেন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ওই ট্রেনের পরীক্ষামূলক সফরেই বেশ কিছু খামতি সামনে এসেছিল। সে সময়ে এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। যদিও রেলের পক্ষ থেকে সে সময় যুক্তি দেওয়া হয়, পরীক্ষামূলক দৌড়ের পরে বন্দে ভারতের খামতি চিহ্নিত করে সেগুলি সংশোধন করে নেওয়া হয়েছে। এর পর ৪৪টি বন্দে ভারত ট্রেন সেট বানানোর জন্য গত ১০ জুলাই মাসে দরপত্র ডাকে রেল। তাতে কেবল একট মাত্র বিদেশি সংস্থা আগ্রহ দেখায়। সেটি হল চিন সরকারের কামরা ও কোচ বানানোর দায়িত্বে থাকা সিআরআরসি কর্পোরেশন। সংস্থাটি গুরুগ্রামের একটি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই দরপত্রে অংশ নেয়।
গত মে মাস থেকে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। জুনে তা চরমে ওঠে। মারা যান প্রায় কুড়ি জন ভারতীয় জওয়ান। তার পরেই দেশের সরকারি প্রকল্পে চিনের সংস্থার বরাত বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। গত জুন মাসে রেলের পণ্যবাহী করিডর প্রকল্পে চিনের সংস্থার বরাত বাতিল করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাতিল হয়ে যায় একাধিক চিনা সংস্থার বরাত। এ বার রেল।
আরও পড়ুন: ভারতকে চাপে রাখতে পাক-চিন বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ
গতকাল রাতে রেলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, ৪৪টি সেমি হাই স্পিড ট্রেন (বন্দে ভারত) বানানোর দরপত্র বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়া নীতির কথা মাথায় রেখে নতুন দরপত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ডাকা হবে। সূত্রের মতে, যে হেতু অন্য বড় কোনও সংস্থা এই দরপত্রে অংশ নেয়নি, সেই কারণে ওই চিনা সংস্থার বরাত পাওয়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তাই ওই দরপত্রই বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেল কর্তাদের মতে, আগামী দিনে ভারতীয় সংস্থাগুলি যাতে ওই প্রকল্পে অংশ নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে রেল। রেলের এক কর্তার কথায়, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা মাথায় রেখেই ওই দরপত্রে কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হয়েছে।