ছবি- এ এফ পি
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা বাড়াল কেন্দ্র। ধান-সহ আরও ১৪টি খারিফ খাদ্যশস্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে প্রতি বছরে সরকারের অতিরিক্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। ধানের সহায়ক মূল্য দেড় গুণ বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্যশস্যের দামও প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অর্থাৎ কৃষকরা তাঁদের ফসলের জন্য যে ন্যূনতম দর পেয়ে থাকেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে কৃষকেরা নিশ্চিত ভাবেই উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে সহায়ক মূল্য দেড় গুণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি চার বছর পর এই বছরের বাজেটে প্রস্তাব হিসেবে রাখেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আর বুধবারই সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
নতুন দর অনুযায়ী, সাধারণ ধানের দাম কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৫০ টাকা। সাধারণ তুলোর দাম কুইন্টাল প্রতি ১১৩০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫১৫০ টাকা।
গত কয়েক বছর ধরেই টালমাটাল দেশের কৃষি অর্থনীতি। কৃষকদের আত্মহত্যার পাশাপাশি জমাট হচ্ছিল কৃষক আন্দোলনও। কৃষিঋণ মকুবের পাশাপাশি, কৃষকদের দাবিদাওয়ার তালিকায় ওপরের দিকেই ছিল সহায়ক মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি। ২০১৭-র খারিফ মরসুমে মধ্যপ্রদেশে আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে যান ৬ জন কৃষক। এই বছরের মার্চে ৫০ হাজার কৃষক নাসিক থেকে মুম্বই, এই ১৮০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে ‘কিষান লং মার্চ’-এ সামিল হন। জুন মাসেই ‘গ্রাম বন্ধ’-এর ডাক দিয়েছিলেন দেশের কৃষকেরা। এক কথায় দেশ জুড়েই পথে নামছিল দেশের কৃষক সমাজ।
আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতে পঞ্চায়েত মামলার রায় ৬ অগস্ট
এ বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে। তিনটিই বিজেপি শাসিত রাজ্য। পাশাপাশি, একবছরের মধ্যেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে ফুঁসতে থাকা কৃষক সমাজকে পাশে পেতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও হঠাৎ করে এই দাম বাড়ানোর ফলে বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতির হার, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।