ভারতে প্রত্যর্পণ নয়! মেহুল চোক্সীকে স্বস্তি দিয়ে রায় অ্যান্টিগা এবং বারবুডা হাই কোর্টের। ফাইল চিত্র।
পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোক্সীকে ভারতে আনার প্রক্রিয়ায় ইতি টেনে দিল অ্যান্টিগা ও বারবুডার বিচারবিভাগ। দক্ষিণ আমেরিকার ওই দ্বীপরাষ্ট্রের হাই কোর্ট শুক্রবার মেহুলের আবেদনে সায় দিয়ে জানিয়েছে, তাঁকে অ্যান্টিগা ও বারবুডা থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না।
মার্চ মাসে মেহুলের উপর থেকে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস সরিয়ে নেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাঁর প্রত্যর্পণের জন্য ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ হতে পারে। শুক্রবার সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে অ্যান্টিগার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশ প্রধানের রিপোর্টের ভিত্তিতে সে দেশের হাই কোর্ট জানিয়েছে, অবমাননাকর পরিস্থিতির শিকার বা অমানবিক শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তাঁকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না।
পিএনপি কাণ্ডে অভিযুক্ত মেহুল ২০১৭ সালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগা ও বারবুডার নাগরিকত্ব নেন। ২০১৮ সালে ইডি এবং সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইন্টারপোল মেহুলের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল। ওই নোটিসের অর্থ হল, মেহুলের অন্য দেশে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা। তা উঠে যাওয়ায় মেহুল এখন স্বাধীন ভাবে যে কোনও দেশে যাওয়ার অধিকারী। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত করাড সংসদে লিখিত পরিসংখ্যান পেশ করে জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ঋণখেলাপির তালিকার শীর্ষে রয়েছে, ভারত ছেড়ে পালিয়ে ব্রিটেনে গিয়ে ধৃত মেহুলের সংস্থা গীতাঞ্জলি জেম্স। ওই সংস্থার কাছে ব্যাঙ্কগুলির মোট বকেয়া ৭,৮৪৮ কোটি টাকা!
২০২১ সালের ২৩ মে অ্যান্টিগা থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি (পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক) দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মেহুল। বিশেষ কারও সঙ্গে নৈশভোজে বেরিয়ে তার পর আর ফেরেননি বলে জানা যায় সেই সময়। পরে রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর গাড়ি। তিনি কিউবায় পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে সেই সময় জল্পনা শুরু হয়। যদিও কয়েক দিন পর ডমিনিকায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সে সময় সিবিআই এবং ইডির দল ডমিনিকায় গিয়ে সে দেশের আদালতে মেহুলের প্রত্যর্পণের আর্জি জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল।