দুর্ঘটনাস্থলের সামনে উদ্বিগ্ন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্ধারকারীরা। ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনার ১৫ দিন পর টনক নড়ল প্রশাসনের। খনি থেকে জল বার করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প পৌঁছল মেঘালয়ে।শুক্রবার সকালে সাতটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প নিয়ে গুয়াহাটি পৌঁছছে একটি বায়ুসেনা বিমান। শুক্রবার সকালে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে পাম্পগুলো নিয়ে গুয়াহাটিতে বিমানবন্দরে নেমেছে বিমানটি। সেখান থেকে গাড়িতে পাম্পগুলো নিয়ে যাওয়া হবে মেঘালয়ে, যেখানে খনির গর্তে ১৫ জন মানুষ আটকে রয়েছেন এথনও।
যে দু’টি ছোট পাম্পের সাহায্যে শুরুতে জল বার করার চেষ্টা হচ্ছিল, তা অকেজো বলে আগেই বাতিল করে দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তারপরও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প নিয়ে জল বার করার তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এ নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়। ঘটনার দু’সপ্তাহ পর গত ২৭ ডিসেম্বর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প পাঠাতে মেঘালয় প্রশাসনের কিছুটা উদ্যোগ নজরে আসে। তাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প প্রস্তুতকারী সংস্থা কির্লোস্কার ব্রাদার্স লিমিটেড। এই বছরের জুলাই মাসেই তাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প পাঠিয়েছিল তারা। পাম্প পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়াও। এ দিন সকালে তেমনই ৭টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প নিয়ে বায়ুসেনার বিমান গুয়াহাটি পৌঁছয়।
অবশ্য যে ১৫ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে রয়েছেন তাঁরা এখন কী অবস্থায় রয়েছেন তা নিয়েই এখন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, সম্প্রতি সুড়ঙ্গের জলে নেমে পচা গন্ধ পেয়েছেন ডুবুরিরা। যদিও তা মৃত মানুষের পচা গন্ধ নাকি জমে থাকা জল পচে ওই দুর্গন্ধ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: এখনও খনির সুড়ঙ্গে আটক ১৫ শ্রমিক, উদ্ধারে গাফিলতি নিয়ে কাঠগড়ায় প্রশাসন
এ দিকে লোকসভায় মেঘালয় প্রসঙ্গ টেনে এনে বেআইনি খনির উপর স্থগিতাদেশ জারি করার জন্য নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মেঘালয়কে ভুলবশত মিজোরাম বলে বসেন শিলঙের কংগ্রেস সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালা। তাতে সমালোচিতও হন ওই কংগ্রেস সাংসদ।