Railway station

Rakesh Sharma: খোঁজে রাকেশ হারায় কে! নয়াদিল্লির স্টেশন মাস্টার ভুলোমন যাত্রীদের মুশকিল আসান

গত ছ’বছর ধরে হারানো-প্রাপ্তি-ঠিকানায় পৌঁছনোর কাজটি যত্নের সঙ্গে আসছেন নয়াদিল্লি স্টেশনের রেলকর্মী রাকেশ শর্মা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ১৯:৪৭
Share:

রাকেশ শর্মা

ট্রেনযাত্রায় ব্যাগ, মোবাইল বা অন্য কিছু হারিয়ে গেলে তা খুঁজে পেতে বহু ক্ষেত্রেই কাঠখড় পোড়াতে হয় যাত্রীদের। অনেক দৌড়দৌড়ি করেও হারিয়ে যাওয়া জিনিস ফিরে পেতে বেশ কিছু দিন সময় লেগে যায়। রেলকর্মীরাও যে এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী হন, তা অনেকেই হলফ করে বলতে পারবেন না। কিন্তু এই কাজই গত ছ’বছর ধরে করে আসছেন নয়াদিল্লি স্টেশনের রেলকর্মী রাকেশ শর্মা। স্টেশন মাস্টার হিসাবে প্ল্যাটফর্মে ট্রেন পাসিং, সিগন্যালিংয়ের দায়িত্ব পালন ছাড়াও নিজে উদ্যোগী হয়ে ট্রেনে হারিয়ে যাওয়া জিনিস সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দেন তিনি। এই কারণেই নিত্যযাত্রীদের কাছে এখন ‘ত্রাতা’ হিসাবে পরিচিত রাকেশ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪৩০ জন যাত্রীর হারিয়ে যাওয়া জিনিস তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ট্রেনে যাত্রীরা ভুল করে কিছু ফেলে রেখে গেলে রেল তা বাজেয়াপ্ত করে। নিয়ম হল, সংশ্লিষ্ট যাত্রী এসে ওই জিনিসের মালিকানা দাবি করলে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাকেশ নিজেই ওই যাত্রীদের খুঁজে বার করেন। শুধু ভারতীয় যাত্রীদেরই নয়, বেশ কয়েক জন বিদেশি নাগরিকের হাতেও তাঁদের হারিয়ে যাওয়া জিনিস তুলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে যাত্রীদের খুঁজে বার করেন রাকেশ? যাত্রীদের খুঁজে পেতে শুধু পিএনআর নম্বর নয়, নেটমাধ্যমকেও ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি নয়াদিল্লি স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার সময় নিজের মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলেন উদিত সৌম্য নামে ব্যক্তি। রাকেশই উদ্যোগ নিয়ে ওই মানিব্যাগটি উদিতকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। উদিত বলেন, ‘‘স্টেশন মাস্টার রাকেশ শর্মাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার মানিব্যাগটা দু’জন কুলি পেয়েছিলেন। ওঁরাই সেটি স্টেশন মাস্টারের কাছে দিয়ে এসেছিলেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাকেশ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।’’ গত বছর ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি স্টেশনে নিজের ট্রলি ব্যাগ ফেলে গিয়েছিলেন বিহারের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার। তিনি বলছেন, ‘‘রেল যে এত তাড়াতাড়ি ওই ব্যাগ ফিরিয়ে দেবে, ভাবতেই পারিনি। রেলে রাকেশের মতো কর্মী আছেন দেখে সত্যিই ভাল লাগে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement