কিছুটা চুপিসাড়েই গোয়ায় নিকট আত্মীয়দের সামনেই বাগদান পর্ব সারলেন মুকেশ অম্বানী এবং নিতা অম্বানীর বড় পুত্র আকাশ অম্বানী। পাত্রী আকাশেরই স্কুলের বান্ধবী শ্লোকা মেহতা। ডিসেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন আকাশ এবং শ্লোকা। কিন্তু কে এই শ্লোকা মেহতা, হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলেন, সে সবই একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
হিরে ব্যবসায়ী রাসেল মেহতা এবং মোনা মেহতার ছোট মেয়ে শ্লোকা। রোজি ব্লু ডায়মন্ডস এবং ওর্রা— এই দুটি ব্র্যান্ডের কর্ণধার রাসেল মেহতা। শ্লোক ছাড়াও রাসেল এবং মোনার পরিবারে আরেক কন্যা এবং পুত্র রয়েছেন। দিয়া এবং বিরাজ দুজনের পরেই মেহতা দম্পতির সংসারে আসে শ্লোক।
শ্লোকা এখন ২৭ বছরের। মুম্বইতে ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দুজনের পরিচয়। আর সেখান থেকেই প্রেম।
২০০৯ সালে স্কুল পর্বে ইতি টেনে শ্লোক পাড়ি দেন আমেরিকা। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃতত্ব নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দেন শ্লোক। আর তার পরে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্স থেকে মাস্টার্স করেন শ্লোকা।
শ্লোকার বাবা রাসেল এবং দাদা বিরাজ মেহতা হিরের ব্যবসর অর্থাৎ রোজি ব্লু ডায়মন্ডস-এর দেখভাল করেন। অন্যদিকে ওর্রা নামের গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দেখাশোনা করেন শ্লোকার দিদি দিয়া এবং মা মোনা মেহতা।
তবে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে পারিবারিক ব্যবসাতেই লেগে পড়েন শ্লোকা। কিছুদিনের মধ্যেই ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে রোজি ব্লু ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টরের পদে বসেন অম্বানী পরিবারের হবু বউ। কানেক্টফর নামের আরেকটি কোম্পানীরও সহ প্রতিষ্ঠাতা শ্লোকা মেহতা।
গোয়ায় একটি পাঁচতারা হোটেলে আকাশ এবং শ্লোকার বাগদানের আসর বসে। হাইপ্রোফাইল এই বিয়ের জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। অতঃপর হোলির সময়েই ঠিক হয় বাগদানের দিনক্ষণ। এ দিন বাগদানের পরে মুম্বইতে ফিরে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজোও দেন দুই পরিবারে। বিয়ের জন্য ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের ওবেরয় হোটেলও বুক হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের ৮ থেকে ১২ টানা পাঁচ দিনের জন্য চলবে অম্বানী এবং মেহতা পরিবারের পুত্র কন্যার বিয়ের অনুষ্ঠান।
হাইপ্রোফাইল পরিবারের বাগদান বলে কথা, অম্বানী পরিবারের তরফ থেকে পার্টি হবে না এমনটা আবার হয় না কি? তাই মুম্বইতে ফিরতে না ফিরতেই পার্টি। কে নেই সেই পার্টিতে। শাহরুখ থেকে ক্যাটরিনা, আরাধ্যাকে সঙ্গে নিয়ে ঐশ্বর্যা, সস্ত্রীক জাহির, কর্ণ জোহর, কিরণ রাও এবং আরও অনেকে।