কানাডার ব্রাম্পটনে একটি মন্দিরে হামলার অভিযোগ খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে। ঘটনার নিন্দায় বিবৃতি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের। ছবি: সংগৃহীত।
ব্রাম্পটনের মন্দিরে হামলায় দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কানাডার উদ্দেশে এই বার্তাই দিল নয়া দিল্লি। রবিবার কানাডার ব্রাম্পটনে একটি মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে খলিস্তানপন্থী জনতার বিরুদ্ধে। মন্দিরের ভিতর ভক্তদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। রবিবারের ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারত আশা করছে হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে উগ্রপন্থী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। কানাডার সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই ধরনের হামলা থেকে সমস্ত উপাসনাস্থলকে রক্ষা করুন। আমরা আশা করি, হামলায় জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে। কানাডায় থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
কানাডায় অবস্থিত ভারতীয়দের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই মন্দিরের বাইরেই শিবির খুলেছিল ভারতীয় উপদূতাবাস। সেখানেও খলিস্তানপন্থীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ধরনের হামলা চালিয়ে, ভয় দেখিয়ে উপদূতাবাসের আধিকারিকদের থামানো যাবে না।
ওই হামলার কথা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয়েরা। রবিবার ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন ভক্ত। ওই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার প্রতিবাদে অবস্থানে বসেছিলেন খলিস্তানপন্থী কয়েক জন। তাঁদের হাতে ছিল খলিস্তানপন্থী সংগঠনের পতাকা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তেরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় খলিস্তানপন্থী জনতা। মারধরের হাত থেকে মহিলা এবং শিশুরাও রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ।
মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “হিন্দু সভা মন্দিরে হিংসার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডার প্রতিটি মানুষের অবাধে এবং নিরাপদে ধর্মাচরণ করার অধিকার রয়েছে।” খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই কানাডা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। যদিও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন আবহেই কানাডায় দীপাবলি পালন করতে দেখা গিয়েছে ট্রুডোকে।