ফাইল চিত্র।
বিহারে বিরোধী জোটে শামিল হচ্ছেন না মায়াবতী। রাজ্যের ৪০টি আসনেই বহুজন সমাজ পার্টি প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছেন তিনি। বিএসপির এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে কংগ্রেস-আরজেডি জোট। পাশাপাশি, প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বিরোধী ভোট ভাঙার সম্ভাবনায় স্বস্তির হাওয়া বিজেপি-জেডিইউ শিবিরে।
বিএসপিকে জোটে সামিল করানোর সমস্ত চেষ্টা করেছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। লখনউ গিয়ে ‘বুয়া’ মায়াবতীকে প্রণাম করে আসেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হল না। বিএসপির রাজ্য পর্যবেক্ষক লালজি মেধঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা বিহারে কোনও জোটে শামিল হচ্ছি না। পৃথক ভাবেই সমস্ত আসনে প্রার্থী দেব। দলের প্রধান সুশ্রী মায়াবতীজি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে মায়াবতী নিজের ত্যাগরাজ মার্গের বাসভবনে বিহারের কার্যকর্তাদের বৈঠকে ডেকেছেন বলেও মেধঙ্কর জানিয়েছেন। সেখানে সব জেলা সভাপতি এবং রাজ্য কমিটির নেতারা হাজির থাকবেন বলে দাবি লালজির।
বিহারের ‘মহাজোট’-এ আরজেডি, কংগ্রেস, আরএলএসপি ও জিতনরাম মাঁঝি ছাড়াও সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল) এবং বিএসপিকে শামিল করার চেষ্টা চলছিল। উত্তরপ্রদেশ সীমানা লাগোয়া বিহারের জেলাগুলিতে প্রভাব রয়েছে মায়াবতীর পার্টির। তা ছাড়াও, রামবিলাস পাসোয়ানের দলিত ভোটব্যাঙ্ককে ভাঙতে বিএসপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেই মনে করছিলেন জোট নেতারা। হাজিপুর বা গোপালগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিএসপিকে ছাড়তে রাজিও ছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু মায়াবতীর যুক্তি, মহাজোট আসন বণ্টনে দেরি করছে। সে কারণেই আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিল বিএসপি।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে প্রায় ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিএসপি। মোদী হওয়া সত্ত্বেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ২.১৭ শতাংশ। সিপিএম এবং সিপিআইয়ের সম্মিলিত ভোটের প্রায় দ্বিগুণ। গোটা ভোটটাই ছিল উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। সে কথা মাথায় রেখেই তেজস্বী মায়াবতীর সঙ্গে দেখা করে বিহারে জোটে শামিল হওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আরজেডি সূত্রের দাবি, রাজিও ছিলেন মায়াবতী। আচমকাই কে তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টালেন তা নিয়ে ধন্দে আরজেডি।
যদিও মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়েই লড়বে মায়াবতীর দল। আজ দুই দলের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে বিএসপি লড়বে ২৬টি আসনে এবং এসপি লড়বে তিনটিতে। উত্তরাখণ্ডে পাঁচটি আসনের মধ্যে একটিতে লড়বে এসপি।