ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জোট গড়বে না বিএসপি। দলের এই ‘একলা চলো’ নীতির কথা বিএসপির শীর্ষ নেত্রী মায়াবতী নিজেই আজ ঘোষণা করেছেন। এর ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, আগামী বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে বিরোধী শক্তি অন্তত তিন ভাগে ভাগ হতে চলেছে।
গত কাল থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর সামনে আসে যে এ বার লখনউয়ের কুর্সির লড়াইয়ে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম-এর হাত ধরতে পারে বিএসপি। মায়াবতী আজ সকালে টুইট করে এ খবর খণ্ডন করেছেন। তাঁর দাবি, এই ধরনের খবর ভিত্তিহীন। তিনি আরও জানিয়েদেন, বিএসপি এ বার শুধু পঞ্জাবে শিরোমনি অকালি দলের সঙ্গে জোট গড়বে। পঞ্জাবের ১১৭টি আসনের বিধানসভায় ৯৭টিতে লড়বে শিরোমনি অকালি দল, ২০টিতে বিএসপি। তবে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে একাই লড়বে মায়াবতীর দল।
উত্তরপ্রদেশে বিএসপি থেকে বিতাড়িত বিধায়কেরা সমাজবাদী পার্টির যোগাযোগ করতেই দু’দলের মধ্যে টানাপড়েন বেড়েছে। এ মাসের শুরুতে মায়াবতী কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তাঁদের দল থেকে বিতাড়িত, প্রভাবহীন নেতাদের জায়গা মিলছে সমাজবাদী পার্টিতে। এই দু’দলের জোট গড়ার পরিস্থিতি যে নেই, তখন থেকেই তার ইঙ্গিত মিলেছিল। দিন কয়েক আগে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও জানিয়ে দেন, উত্তরপ্রদেশে আরএলডি-র মতো সম মনোভাবাপন্ন ছোট ছোট দলের হাত ধরে
ভোটের লড়াইয়ে নামবেন তাঁরা। তবে বিএসপি কিংবা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে না। কংগ্রেস সম্পর্কে অখিলেশ বলেন, ‘‘২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে তাদের সঙ্গে জোটের অভিজ্ঞতা ভাল হয়নি। কংগ্রেসকে তখন প্রায় ১০০টি আসন ছেড়েছিলাম আমরা। তবে তারা জয়ী হতে পারেনি।’’ উত্তরপ্রদেশের মানুষ কংগ্রেসের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে বলেই খোঁচা দিয়েছিলেন অখিলেশ। অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সেখানে দলের রণনীতি ঠিক করবেন তিনিই।