ফাইল ছবি
বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে দীর্ঘ তিন বছরের নীরবতার পরে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে এক সপ্তাহে পরপর দু’বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল। বুধবার তিনি বলেছেন, “দারিদ্র, বেকারত্ব, মুল্যবৃদ্ধির মতো মারাত্মক সব বিষয় থেকে মানুষের মনকে অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য বিজেপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি ধর্মস্থানগুলিকে নিশানা করছে। বিষয়টি আর গোপন নেই। এরা পরিস্থিতি যে কোনও সময়ে বিগড়ে দিতে পারে।’’ মায়া মনে করেন, স্বাধীনতার এত বছর পরে মানুষের ধর্মবোধকে উস্কে দিয়ে জ্ঞানবাপী, মথুরা, তাজমহল, এবং অন্যান্য জায়গায় ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে ভারত শক্তিশালী নয়, ক্রমশ দুর্বল হবে। বিজেপির এ সব কথা মাথায় রাখা উচিত।
এক সপ্তাহ আগেই মায়াবতী টুইট করে বলেছিলেন, “উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য বিজেপি-শাসিত রাজ্যে দরিদ্র, দলিত, আদিবাসী এবং মুসলিমদের উপরে অত্যাচার চলছে। মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। গোটা বিষয়টি দুঃখজনক।” রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বিএসপি নেত্রীর একটি কথাও শোনা যায়নি। বরং নিজের রাজ্যে ভোটের আগে যতটা পেরেছেন, আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস এবং এসপিকে।
বিরোধীদের পারস্পরিক লড়াইয়ে লাভবান হয়েছে বিজেপি। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে তাঁর বুধবার ভিন্ন সুর কেন? বিরোধী শিবিরের একাংশের বক্তব্য, বিজেপির প্রতি দীর্ঘ ‘আনুগত্যের’ পিছনে কেন্দ্রের সিবিআইয়ের জুজু রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার পরেও মায়াবতী বিজেপির কাছ থেকে আশা করছেন কিছু রাজনৈতিক মূল্য। সেই সমীকরণ মিলছে না বলেই বিজেপির উপরে চাপ তৈরি করতে চান তিনি।