(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিএসপি সভানেত্রী তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালেন বিএসপি সভানেত্রী তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী’! তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উত্তরপ্রদেশ ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঠিক আগেই।
মায়াবতী বুধাবার এক্স পোস্টে লিখেছেন, যে তাঁর দল এক সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিষয়ে ‘ইতিবাচক’ দৃষ্টিভঙ্গি রাখে। সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘তবে এর উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জাতীয় স্বার্থ এবং জনস্বার্থ।’’
গত কয়েক বছর ধরে বারে বারেই বিজেপির সঙ্গে মায়াবতীর গোপন আঁতাতের অভিযোগ উঠেছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার মায়াবতীয় বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে দিয়ে খুঁচিয়ে তোলার হুমকি দিয়ে তাঁকে বিরোধী জোটে শামিল হতে দেয়নি বলেও অভিযোগ। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের দলিতনেত্রীর বুধবারের মন্তব্য নতুন করে সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হয় ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ। কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিএম-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করলেও বিএসপি কার্যত সরকারের পাশে দাঁড়াল। সূত্রের খবর, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় মায়াবতীর দলের সমর্থন মোদীর দিকে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকর করার দিশানির্দেশিকা খুঁজতে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল মোদী সরকার। লোকসভা ভোটের আগেই গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব ক’টি বিধানসভার নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্টটি জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি। কেন্দ্রের দাবি, কোবিন্দ কমিটির কাছে ৪৭টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল মতামত জানিয়েছিল। ৩২টি দল ‘এক দেশ এক ভোট’ সমর্থন করেছে, বিরোধিতা করেছে ১৫টি রাজনৈতিক দল।