—ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে বিজেপি-কোণঠাসা করার পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল আগেই। তার পরেও নতুন করে সকলকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। সেই মতো বিরোধীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, যাতে করোনা-সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। কিন্তু তাতেও শুরুতেই তাল কাটল। সনিয়ার ডাকা বৈঠকে যোগ তো দেবেনই না, সেখানে তাঁদের কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদব।
বৈঠকে যোগ না দেওয়ার আসল কারণ যদিও খোলসা করেননি তিন জনের কেউই। তবে কংগ্রেসের তাঁদের রাজনৈতিক মতভেদের কথা কারও অজানা নয়। সেই কারণেই বিজেপি বিরোধী হলেও, সনিয়ার নেতৃত্বে ওই বৈঠক থেকে তাঁরা সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
নোভেল করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করছে না বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও একই অভিযোগ করেছেন। সেই সমস্ত অভিযোগ ছাড়াও, পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসন, কেন্দ্রের অর্থনৈতিক প্যাকেজ, অতিমারি সামাল দিতে রাজ্যগুলির হাতে টাকা তুলে দেওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে ১ হাজার কোটি টাকার সাহায্য, প্রতিশ্রুতি মোদীর
শুরুতে এপ্রিলে বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও, শেষমেশ শুক্রবার বৈঠকটি হবে বলে ঠিক হয়। সেই মতো চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ছোট-বড় ১৮টি বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু সনিয়ার নেতৃত্বে ওই বৈঠকে তাঁরা যোগ দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেজরীবালরা।
তবে কেজরীবালরা না এলেও এ দিনের বৈঠকে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মমতা আগাগোড়া বৈঠকে থাকতে না পারলেও, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর হয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করবেন। কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন)-এর জেরে বাংলায় ত্রাণ ও পুনর্গঠনের প্রসঙ্গ তুলবেন তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ফের রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
বিজেপির সঙ্গে সাড়ে তিন দশকের জোটে ইতি টেনে মহারাষ্ট্রে সরকারগঠনকারী শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও এ দিনের বৈঠকে থাকবেন। বিরোধী শিবিরের সঙ্গে এটাই প্রথম বৈঠক উদ্ভবের। বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং অন্যান্য ইউপিএ শরিকরা। শুরুতে বৈঠকে যাওয়া নিয়ে ইতস্তত করলেও, বৈঠকে থাকছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়াও বৈঠকে যোগ দেবেন। ।