কুয়াশামগ্ন দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে পারদ পতন অব্যাহত। বৃহস্পতিবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৭-৮ ডিগ্রি কম। প্রবল শীতের পাশাপাশি, ঘন কুয়াশায় নাজেহাল দিল্লিবাসী। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় ১২ ডিগ্রি কম। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর মধ্যপ্রদেশের অনেক জায়গাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। যা কিনা স্বাভাবিকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ৭ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার দিল্লির সফদরজং এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পালামে ছিল ১১.৪, গাজিয়াবাদ ১০.৮, রিজ এলাকায় ১২, লোধি রোডে ১২.৬ এবং নয়ডায় ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ১০ ডিগ্রির নীচে ঘোরাফেরা করবে। এরই সঙ্গে কুয়াশার প্রকোপ বাড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। গত কয়েক দিন ধরেই কুয়াশায় জেরবার উত্তর ভারতে। বাতিল হয়েছে একের পর এক বিমান। দৃশ্যমানতা কম থাকায় গত কয়েক দিনে দিল্লির অনেক বিমান বাতিল করতে হয়েছে। গন্তব্য পরিবর্তন করতে হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমানের। ঘন কুয়াশার ফলে বার বার বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিমানের পাশাপাশি ট্রেন পরিষেবাও ব্যাহত হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলছে বহু ট্রেন। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে মৌসম ভবনের জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনেও কুয়াশা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সকালের দিকে রোজই ঘন কুয়াশা থাকবে একাধিক রাজ্যে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার দরুণ নয়ডার স্কুলগুলি ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে গৌতমবুদ্ধ নগর প্রশাসন জানিয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে। আগামী ৮ এবং ৯ জানুয়ারি মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দক্ষিণ হরিয়ানা এবং দক্ষিণ উত্তরপ্রদেশে হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।