মথুরায় সেই অশান্তির আগুন।
অবশেষে ধরা পড়লেন স্বাধীন ভারত সুভাষ সেনার বাঙালি পাণ্ডা চন্দন বোস। গত ২ জুন মথুরায় দখলি জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বড়সড় সশস্ত্র হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। আজাদ ভারত বৈদিক বৈচারিক ক্রান্তি সত্যাগ্রহ নামের এক সংগঠন এই জমি দখল করে রেখেছিল। নিজেদের নেতাজি সুভাষচন্দ্রের আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে দাবি করত এই সংগঠন। নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর নামও রেখেছিল সুভাষ বোসের নামে। এই সুভাষ সেনার হাতেই সে দিন খুন হন দুই পুলিশকর্তা। সংঘর্ষে সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৯ জনের। সিটি ম্যাজিস্ট্রেট রাম আর্য যাদব সহ শতাধিক মানুষ আহত হন।
তদন্তে জানা যায়, স্থানীয় থানার অফিসার সন্তোষ যাদবকে গুলি করে খুন করেন চন্দনই। সুভাষ সেনার গুলিতে মারা যান পুলিশ সুপার মুকুল দ্বিবেদীও।
ঘটনার পর খোঁজ মিলছিল না সংঠনের মূল পাণ্ডা রামবৃক্ষ যাদব এবং এর সশস্ত্র বাহিনীর ‘অধ্যক্ষ’ চন্দন বোসের। পরে রামবৃক্ষের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থলেই। সম্ভবত গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে তাঁর ম়ৃত্যু হয়েছিল। চন্দনের কোনও হদিশ মিলছিল না। বাঙালি চন্দন বোস আদতে শিলিগুড়ির লোক। এই সংগঠনে যোগ দিয়ে তিনি ক্রমশ এর বড় নেতা হয়ে ওঠেন। সেই চন্দনই বেশ কিছু দিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন:
ফ্রিজ বদলের বায়না, সাড়াও দিলেন সুষমা