ভীমা-কোরেগাঁও হিংসার ঘটনায় সমাজকর্মীদের ধরপাকড় ও ‘শহুরে নকশাল’ শব্দবন্ধটি নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশ জুড়ে। ঘটনাচক্রে, এই সময়েই সিপিআই (মাওবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য প্রশান্ত বসু ওরফে কিষেণদা জানালেন, সংগঠনে শিক্ষিত তরুণ ক্যাডারের অভাব তাঁদের ভোগাচ্ছে। তাই সংঘর্ষের বিভিন্ন এলাকায় ‘বিপ্লবী ভাবধারায় বিশ্বাসী শিক্ষিত ছাত্র ও বুদ্ধিদীপ্ত কমরেডদের’ পাঠানোর জন্য মাওবাদীদের সমস্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলীয় মুখপত্রে প্রশান্তবাবু বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় স্তরের নেতৃত্ব তৈরি করাটাই এখন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে— অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ডে আমরা দলিত, আদিবাসী, গরিবদের মধ্যে ভিত তৈরি করেছি। শিক্ষার হার সেখানে কম। কাজেই তাদের মার্ক্সবাদের প্রকৃত অর্থ শেখানো কঠিন। এদের শিক্ষিত করে তুলতে শিক্ষিত, বুদ্ধিদীপ্ত বিপ্লবীদের প্রয়োজন।’’ মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের প্রায় প্রত্যেকেই ষাটোর্ধ্ব। প্রবীণ ক্যাডারদের জন্য অবসর প্রকল্প চালু করেছে তারা।