ব্যাহত ট্রেন চলাচল। নিজস্ব চিত্র।
একটুর জন্য রক্ষা পেল হাওড়াগামী ডাউন দূন এক্সপ্রেস। যে রুটে তার আসার কথা ছিল, সেই ডাউন লাইনের একটা অংশ বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। তবে, লাইন ওড়ানোর খবর পেয়েই ওই ট্রেনটিকে আগেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ঝাড়খণ্ডের চিচাকী এবং কর্মাবাধ স্টেশনের কাছে ওই বিস্ফোরণে দুটো স্লিপার-সহ ফুটখানেক রেল লাইন উড়ে যায়। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ধানবাদ ডিভিশনের অন্তর্গত ওই জায়গায় লাইন উড়ে যাওয়ার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে হাওড়া-দিল্লি মেন লাইনে ট্রেন চলাচল।
ওই রুট ধরে অনেক ট্রেনই ভোরের দিকে কলকাতা পৌঁছয়। দূন বা রাজধানীর মতো সেই সমস্ত ট্রেনগুলিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় রাঁচী-পটনা রুটে ট্রেন চলাচলও। কোডারমা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ডাউন যোধপুর এক্সপ্রেস। হাজারিবাগ স্টেশনে দাঁড়িয়ে ডাউন কালকা মেল। রফিগঞ্জ স্টেশনে দাঁড়িয়ে ডাউন আনন্দবিহার বাই উইকলি। গুজহান্ডি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ডাউন শিপ্রা এক্সপ্রেস।
শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার রাতে জামুইয়ে লক্ষ্মীপুরের কাছে আনন্দপুর গ্রামে উড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল টাওয়ার। এর পর গিরিডির মধুবন থানার ধাবাটাঁড়ের কাছে ডুমরি-গিরিডি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা। ভোরে বিরনি থানার গারাগুরুতে রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রেও আগুন ধরিয়ে তারা। পর পর হামলার পরে ঝাড়খণ্ড জুড়ে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার ২৪ ঘণ্টা ঝাড়খণ্ড বন্ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরি যুবককে জিপে বাঁধা ভুল হয়নি: সেনাপ্রধান
সাত বছর আগে এই মে মাসেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সরডিহার কাছে মাওবাদী হানায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া-মুম্বই আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। প্রচুর যাত্রী সেই ঘটনায় হতাহত হন। মাওবাদীদের এই বন্ধের কথা আগে থেকেই রেলের জানা ছিল। সে জন্য গত ২৫ তারিখেই তারা ঝাড়খণ্ডের সমস্ত ডিভিশনকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। সেই মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজুত ছিল বলে রেলের দাবি। আর সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।a