—প্রতীকী ছবি।
এমবিবিএস-এর ফাইনাল পরীক্ষার বদলে সর্বভারতীয় স্তরে এগজিট টেস্ট বা নেক্সট (ন্যাশনাল এগজিট টেস্ট)-কে ডাক্তারির লাইসেন্স পাওয়ার মাপকাঠি হিসেবে
চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। পাশাপাশি ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর কোর্সে সুযোগ মিলবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই বাতাবরণেই এ বার পড়ুয়া থেকে মেডিক্যাল পঠনপাঠনের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার জন নিজেদের মনোভাব এনএমসি-কে জানিয়েছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিতর্কের জেরে নেক্সট বাস্তবায়িত করার আগে এনএমসি তা নিয়ে মতামত জানানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি পাবলিক নোটিস জারি করে নেক্সট নিয়ে জনমত আহ্বান করা হয়। পরীক্ষাটির পক্ষে-বিপক্ষে মতামত জানানোর পাশাপাশি পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, মাত্র ২৮ দিনের মধ্যেই ৩৬ হাজার প্রতিক্রিয়া জমা পরেছে এনএমসি-র পোর্টালে। এরমধ্যে পক্ষে ও বিপক্ষের হার কত তা অবশ্য এখনই স্পষ্ট করতে চায়নি এনএমসি। তবে বেশির ভাগই নেতিবাচক মতামত দিয়েছে বলে খবর।
২০২৪ থেকেই নেক্সট চালুর সিদ্ধান্ত এনএমসি নেওয়ার পর থেকে বিতর্ক শুরুর পাশাপাশি প্রকাশ্যে আপত্তি জানায় সর্বভারতীয়স্তরে চিকিৎসকদের বড় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। প্রতিবাদ জানায় ছাত্র সংগঠন 'অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন' (এআইডিএসও)-ও। প্রবল বিতর্কের কারণেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানিয়ে ছিলেন চলতি বছর থেকে নেক্সট চালু হচ্ছে না। কিন্তু কবে থেকে তা চালু হবে সেটাও আর স্পষ্ট করেনি এনএমসি।