বিপজ্জনক: অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে গোদাবরী নদী। মঙ্গলবার নাসিকে। পিটিআই
প্রবল বর্ষণে গুজরাতে একটি বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ে প্রাণ হারালেন আট জন। পাশাপাশি বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের রাজকোটে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে এই নিয়ে মোট ৬৪ জন প্রাণ হারালেন। মৃতদের পরিসংখ্যান অনুসারে ৩৩ জন মারা গিয়েছেন বজ্রপাতে। দেওয়াল ধসে পড়ে প্রাণ হারালেন আট জন। ডুবে ও গাছ পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন যথাক্রমে ১৬ ও ছ’জন। বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ১৭৭.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজকোটে। রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় ব্যাপক অসুবিধা হয়েছে শহরের বাসিন্দাদের। এই বিপর্যয়ের মধ্যে রাজকোটে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার পরেই শহরের স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শহরের বন্যা দুর্গত পরিস্থিতি সামলাতে অজী-২ বাঁধের চারটি গেট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একই সঙ্গে।তার আগে বাঁধের নিকটবর্তী নিচু এলাকায় থাকা মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নিরাপদ স্থানে।
রাজকোটের মতো আমদাবাদও বিধ্বস্ত বর্ষণে। সোমবার মাত্র তিন ঘণ্টায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। আবহাওয়াবিদদের দাবি, গত পাঁচ বছরে এক দিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত এটি। দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় লাগাতার বৃষ্টিতে সূচনা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। আগামী পাঁচ দিনে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টিপাতে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবসারী, বলসাড, নর্মদা, ছোটা উদেপুর, পঞ্চমহল ও ডংগ জেলা। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।