— ফাইল চিত্র
লাদাখে মে-জুন মাসে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রথম সারিতে থাকায় স্বাধীনতা দিবসে সাহসিকতার জন্য পুরস্কার পেলেন ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) ২১ জন কর্মী। ২৯৪ জনকে সাহসিকতার জন্য বাহিনীর ডিজি-র দেওয়া বিশেষ পদক পেয়েছেন।
আইটিবিপি-র তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মে-জুন মাসে গালওয়ান-সহ লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর উপরে হামলা করে চিনা বাহিনী। তখন সেনার পাশাপাশি চিনা বাহিনীর সঙ্গে লড়েছে আইটিবিপি-ও। বাহিনী জানিয়েছে, মে-জুন মাসে লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে চিনা জওয়ানেরা। অনেক ক্ষেত্রে ১৭-২০ ঘণ্টা লড়াই চলে। আইটিবিপি জওয়ানেরা কেবল ঢাল দিয়ে নিজেদের রক্ষাই করেননি, চিনা সেনাকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে আহত ভারতীয় জওয়ানদের সরিয়ে এনেছেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষা করেছে আইটিবিপি-ই।
অন্য দিকে কাশ্মীরে জঙ্গি-দমন অভিযানের জন্য শৌর্য চক্র পেয়েছেন ৪ সেনা। বায়ুসেনা থেকে শৌর্য চক্র পেয়েছেন উইং কমান্ডার ভিশক নায়ার। সাহসিকতার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ৮১ জন ও সিআরপিএফের ৫১ জন কর্মী। জঙ্গিদের নিয়ে যাওয়ার পথে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশেরই ডেপুটি সুপার দেবেন্দ্র সিংহকে গ্রেফতার করেছিলেন ডিআইজি বিজয় গয়াল। পদকপ্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। গত বছরে পুলওয়ামায় জঙ্গি দমন অভিযানের সময়ে নিহত হয়েছিলেন কনস্টেবল আব্দুল রশিদ কালাস। তাঁকে মরণোত্তর কীর্তি চক্র দেওয়া হয়েছে।
সম্মানের তালিকায় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকেও। দিল্লিতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশেষ অভিযান পদক পেয়েছেন আইটিবিপি-র ৩১৮ জন ও অন্য আধাসেনার ৪০ জন জওয়ান।