অশান্ত মণিপুরে সেনাটহল। ছবি: রয়টার্স।
অশান্ত মণিপুরে থানা এবং বিধায়কদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আরও আট জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বরের ওই ঘটনায় চলতি সপ্তাহে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিধায়কদের বাড়িতে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পশ্চিম ইম্ফল জেলার পাটসোই থানা এলাকার কিয়াম মামাং লেইকাইয়ের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও, বুধবার কাকচিং থানায় ঢুকে ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ধৃত চার জনের মুক্তির দাবিতেই কাকচিং থানায় ওই ভাঙচুর চালানো হয়েছিল।
গত মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন আরও বহু মানুষ। সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। দিন কয়েক পরে অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে আসে। প্রকাশ্যে আসে শিউরে ওঠার মতো ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। জিরিবামের এই ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্যের পাঁচ জেলায় জারি করা হয় কার্ফু। সপ্তাহখানেক বন্ধ রাখা হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও। তার মাঝেই গত ১৬ নভেম্বর রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। হামলার চেষ্টা হয় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক ভিটেতেও। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গত কয়েক দিনে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯।