দেশের সেরা তদন্ত সংস্থায় লোকবলের অভাব দেখে সাত মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই একটা সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ বার সিবিআই প্রধান অনিল সিন্হাই মেনে নিলেন, লোকবলের অভাব সত্ত্বেও তদন্তের চাপে সিবিআই ভেঙে পড়বে। পরিস্থিতি শোধরাতে অবিলম্বে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ডেপুটেশনে অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
সারদা থেকে ব্যপম, টু-জি থেকে কয়লা বণ্টন— গত কয়েক বছরে একের পর এক বড় মাপের কেলেঙ্কারির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। এ দিকে সিবিআইয়ের ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হয়েছে। কর্মিবর্গ ও আইন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে হাজির হয়ে সে কথাই স্বীকার করেছেন অনিল সিন্হা। জানিয়েছেন, বছরে ৭০০টি মামলা তদন্তের ক্ষমতা রয়েছে সিবিআইয়ের। এ দিকে মামলার সংখ্যা তার দ্বিগুণ। সিবিআইতে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৭,২৭৪টি। তার মধ্যে ১,৫৩১টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। জমে থাকা মামলার সংখ্যা ১২০০ ছুঁয়েছে। এ ছাড়াও বিদেশে ৬২টি তদন্তের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি মামলা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে।
সিবিআইতে লোকবলের অভাবের বিষয়টি আদালতের নজরে আসে সারদা তদন্তের সময়। তদন্তের গতি শ্লথ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সিবিআই জানিয়েছিল, তাদের লোকবলের অভাব। সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে লোক দিয়ে সিবিআইকে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সিবিআইকেও এ জন্য ভর্ৎসনা করেছিল। শূন্যপদ সিবিআইয়ের নিজেদেরই তৈরি বলে এ বিষয়েই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছিল বিচারপতি টি এস ঠাকুরের বেঞ্চ। সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, ১৯৬৩ সালের পর থেকে সিবিআইয়ের প্রয়োজনীয় কর্মীসংখ্যার আর কোনও পর্যালোচনা হয়নি। আজ স্থায়ী কমিটি সরকারের কাছে জুন মাসের মধ্যে পর্যালোচনার কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে।