রাতে সুনসান মণিপুরের রাস্তা। ছবি: সংগৃহীত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ মসনদে পালাবদল ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তবে তার পরও এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি বাংলাদেশ। ঘরবাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু যথেচ্ছ লুটপাট, এমনকি খুনের মতোও ঘটনা ঘটে চলেছে। এ হেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেও উত্তেজনা বাড়ছে। সদা সজাগ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রাতের অন্ধকারের সুযোগে অনেকেই ‘বেআইনি ভাবে’ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছেন। তাই এ বার মণিপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করল প্রশাসন। আগেই মেঘালয়ে একই নির্দেশিকা জারি করেছিল সেখানকার প্রশাসন।
মণিপুরের ফেরজাল এবং জিরিরাম নামে দুই গ্রামের দিকেই বিশেষ নজর প্রশাসনের। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই এই দুই গ্রাম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসকেরা। তার পরই রাত্রিকালীন কার্ফু জারি এবং নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্মসচিব এক নির্দেশিকায় জানান, বাংলাদেশে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। অবৈধ প্রবেশ আটকাতেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে মণিপুরে সরাসরি কোনও সীমান্ত নেই। তবে দক্ষিণ অসমের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সীমানা ভাগ করে মণিপুর। আবার অসমের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে সরাসরি। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে দক্ষিণ অসম হয়ে অনেক বাংলাদেশিই মণিপুরে ঢুকে পড়তে পারেন। অন্য দিকে, মেঘালয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে সরাসরি। সে দিক থেকেও অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফুও।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে কোনও ভাবেই যাতে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান না ঘটে, সে দিকে নজর রাখছে বিএসএফ। বিশেষত, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পেট্রোপোল এবং রানাঘাটের ‘সংবেদনশীল’ সীমান্ত ছাউনি পরিদর্শন করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) দলজিৎ সিংহ চৌধরি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত বিএসএফ, ওই ছাউনিগুলিতে গিয়ে তা খতিয়ে দেখলেন ডিজি।