নিথর: গুলিবিদ্ধ ‘অবনী’। মহারাষ্ট্র বন দফতরের দেওয়া ছবি।
‘মানুষখেকো’ বাঘিনি অবনীর মৃত্যুর জন্য নিজেরই দলীয় সতীর্থ তথা মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুনগন্টীওয়ারকে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। দুষলেন রাজ্য সরকারকেও। রবিবার টুইটারে মেনকা লেখেন, ‘‘নৃশংস খুন। বহু অনুরোধ সত্ত্বেও সুধীর বাঘিনিটিকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন। আইনগত এবং রাজনৈতিক— দু’ভাবেই বিষয়টা নিয়ে এগোব। বলব মুখ্যমন্ত্রীকেও।’’ হায়দরাবাদের শার্প শুটার শাফাত আলি খানের ছেলে আসগরের গুলিতে মারা যায় অবনী। মেনকার বক্তব্য, ‘‘মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে শাফাত ৩টি বাঘ, ১০টি চিতাবাঘ, কিছু হাতি ও প্রায় ৩০০ বন্য শুয়োর মেরেছে। সে সমাজবিরোধীদের অস্ত্রও সরবরাহ করে। তার সাহায্য নেওয়ার কথা রাজ্য সরকার ভাবল কী করে?’’
সুধীরের দাবি, অবনীকে জীবন্ত ধরারই চেষ্টা চলছিল তিন মাস ধরে। শুক্রবার রাতে অবনীকে গুলি ছুড়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবনী বনকর্মীদের আক্রমণ করায় তাকে গুলি করতে হয়। বনমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের কোনও প্রাণীকে মারার অধিকার নেই। কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্য বনপাল সিদ্ধান্ত নেন।’’ অবনীর ১১ মাসের দু’টি শাবক যাতে নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠতে পারে, বন দফতর তা দেখবে বলে জানান মন্ত্রী। আসগরও বলেন, ‘‘লোকে বাস্তবটা না বুঝেই মন্তব্য করছেন।’’ যদিও পরিবেশকর্মীদের একাংশের দাবি, জঙ্গলের যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অবনীর বিচরণ ছিল, তার একটি অংশ রিলায়্যান্স ও কিছু কর্পোরেট সংস্থাকে লিজ দিয়েছিল সরকার। অবনীর জন্য নির্মাণকাজে বাধা পড়তেই এই কাজ করা হয়েছে।
আজই উত্তরপ্রদেশের দুধবা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে একটি বাঘিনীকে ট্রাক্টর চাপা দিয়ে মেরেছে গ্রামবাসী।