শাস্তি এড়িয়ে বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যানের পদটি অন্তত এক বছর টিকিয়ে রাখতে এ বারে অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মানস ভুঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার আগে দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন মানস। যার সারবস্তু হল, যেখানে বাংলায় সিপিএমের ‘সর্বোচ্চ’ নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে খোদ সুজন চক্রবর্তীই বলেছেন, তাঁরা পিএসির চেয়ারম্যানের পদটির জন্য কংগ্রেসকে আবেদন করেননি, শুধুমাত্র মানস ভুঁইয়াকে আটকানোর জন্যই অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান এআইসিসি নেতৃত্বকে ‘জোটে’র ভুল তথ্য বুঝিয়েছেন। তা ছাড়া প্রথা অনুসারে আগামী পাঁচ বছরে সুজন কোনও ভাবেই পিএসির চেয়ারম্যান হতে পারেন না। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সেটির হকদার একমাত্র কংগ্রেসই। মানসের দাবি, যে কাজটি প্রদেশ স্তরেই মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব হত, সেটি অহেতুক এআইসিসিকে সামিল করা হয়েছে। সে কারণেই গতকাল রাহুল গাঁধী পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশীকে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করতে বলেছেন। ৯ অগস্ট সেই বৈঠক হতে চলেছে।
রাহুলের নির্দেশেই শো-কজ করা হয় মানসকে। তার পর দিল্লিতে ছুটে এসেছিলেন মানস। সনিয়ার দেখা না পেলেও গতকাল রাহুলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এখন শাস্তির খাঁড়ার হাত থেকে বাঁচতে চাইছেন মানস। আর এআইসিসিকে নিজের যুক্তি বুঝিয়ে যাতে অন্তত এক বছরের জন্য পিএসির চেয়ারম্যান পদে থেকে যেতে পারেন, তারও চেষ্টা করছেন। সে কারণেই মানস এখন আরও আক্রমণাত্মক অধীর ও মান্নানের বিরুদ্ধে। যাতে ৯ অগস্টের বৈঠকের আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মোড় ঘোরাতে পারেন। এমনকী এই দুই নেতার মধ্যে ফাটল ধরাতেও চাইছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে মানস বলেন, ‘‘একসময় মান্নান বলতেন, অধীর প্রদেশ সভাপতি থাকলে কংগ্রেস দফতরে ঢুকবেন না। অথচ আমি সব সময় অধীরের পাশে থেকেছি। করজোরে নমস্কার করি, তাঁরা আরও বড় নেতা হোন। আমার নাম প্রত্যাহার করতে কখনও বলা হয়নি। আমার অপরাধ কোথায়?’’
মমতার সঙ্গে তাঁর কোনও রফা হয়নি বোঝাতে মানস বলেন, শত হাতছানি সত্ত্বেও তিনি কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে থেকেছেন। মানসের কথায়, ‘‘মমতা আমার প্রতি আর আমি মমতার প্রতি নরম- এই অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমার বিরুদ্ধে চারখানা জামিন অযোগ্য মামলা ঝুলছে।’’ যা শুনে এক প্রদেশ নেতার সরস মন্তব্য, ‘‘আমাদের কাউকে তো আর মমতার প্রতি নরম মনোভাবের সাফাই দিতে হচ্ছে না। মানসকে এই সাফাই দেওয়ার প্রয়োজন হল কেন?’’ কাকতলীয় হলেও মানস ও মমতা একই দিনে দিল্লিতে এলেন ও একই দিনে কলকাতায় ফিরলেন।
আরও খবর
উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তান যাচ্ছেন রাজনাথ, উঠতে পারে কাশ্মীর ইস্যু