National News

শৌচালয়কে ঘর বানিয়ে মাঠেই শৌচকর্ম সারেন এই দিনমজুর!

পেশায় দিনমজুর বছর পঞ্চাশের ছোটু তাঁর কর্মকাণ্ডের জেরে গোটা জেলায় শোরগোল ফেলে দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাউরকেলা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৩০
Share:

এই সেই দিনমজুর ছোটু। ছবি: সংগৃহীত।

ছোটু রাউতিয়া। ওডিশার সুন্দরগড় জেলার জালারা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর বছর পঞ্চাশের ছোটু তাঁর কর্মকাণ্ডের জেরে গোটা জেলায় শোরগোল ফেলে দিয়েছেন।

Advertisement

কী এমন করলেন এই দিনমজুর?

আরও পড়ুন: ভারতরত্নের প্রস্তাব কারিয়াপ্পাকে, ফের বিতর্কে সেনাপ্রধান

Advertisement

প্রাক্তন সেনাকে নাগরিকত্ব প্রমাণের নোটিস

প্রতিবেশীরা জানান, পৈতৃক ভিটেতে অনেক দিন ধরেই থাকছেন ছোটু। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে এক চিলতে একটা ঘর। কিন্তু সে ঘরও যে বাস করার মতো তেমনটাও নয়। চালা ভাঙা, দেওয়াল থেকে পলেস্তরা খসে পড়ছে। দরিদ্র দিনমজুর ছোটুর আয় যা তাতে দিন গুজরান করে ঘর ঠিক করার সামর্থ্য নেই। এর পর গ্রামেরই এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথা শোনেন ছোটু। দেরি করেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করে দেন। অভিযোগ, কোনও সাড়া পাননি প্রশাসনের কাছ থেকে। বার বার প্রশাসনের এ দরজা ও দরজা চষে ফেলেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর অসুবিধার কথা শুনে প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁকে ঘর দেওয়া যাবে না। তবে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে ছোটুকে শৌচালয় বানিয়ে দেওয়া যাবে। শৌচালয় বানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সেটা শৌচকর্মের জন্য ব্যবহার করেন না। গোটা সংসারই তুলে নিয়ে গিয়েছেন ওই শৌচালয়ে। খাওয়া, থাকা, ঘুম— সবই এখন ওই শৌচালয়ে করেন ছোটু। তাঁর অভিযোগ, সরকার মাথা গোঁজার ছাদ বানিয়ে দেয়নি, তাই বাধ্য হয়েই শৌচালয়কে ঘর হিসাবে ব্যবহার করছেন। আর শৌচকর্ম? না, সেটা আর ‘ঘরের মধ্যে’ করেন না ছোটু। সে ক্ষেত্রে ভরসা মাঠ আর পুকুর পাড়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement