Marriage ceremony

‘স্যর, আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন’! বরযাত্রী নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন পাত্র

২৩ এপ্রিল ছিল তাঁদের বিয়ে। কিন্তু বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যেতেই পাত্রী বেঁকে বসেন। জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫৩
Share:

থানায় হাজির বর। ছবি: সংগৃহীত।

জনা পঞ্চাশেক বরযাত্রী এবং ব্যান্ডপার্টি নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন এক যুবক। থানায় ঢুকেই কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের সামনে হাতজোড় করে আর্জি জানালেন, “স্যর, দয়া করে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন।” বরের বেশে এক যুবককে থানায় ঢুকে এমন আর্জি করতে দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক এবং অন্যান্য পুলিশকর্মীরা। থানার বাইরে তখন বরযাত্রীদের মধ্যে একটা গুঞ্জন চলছিল। সকলেরই নজর তখন থানার দিকে। কী উত্তর আসে, তারই অপেক্ষা করছিলেন যেন!

Advertisement

সম্বিৎ ফিরতেই পুলিশ আধিকারিক যুবককে জিজ্ঞাসা করেন, ঠিক কী হয়েছে। সবিস্তারে তাঁকে জানাতে বলা হয়। রাজগড়ের বাবলি বর্মার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সুরেশ বর্মার। ২৩ এপ্রিল ছিল তাঁদের বিয়ে। কিন্তু বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে যেতেই পাত্রী বেঁকে বসেন। জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না। আর এই ঘটনার পরই হুলস্থুল পড়ে যায়। পাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় পাত্রপক্ষের তরফে। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। অগত্যা কোনও উপায় না দেখে বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়েই সটান থানায় হাজির হয়েছিলেন সুরেশ।

পাত্রী বাবলি জানিয়েছে, তিনি নাবালিকা। বিয়ের বয়স হয়নি। তাই বিয়ে করতে রাজি নন। তার দাবি, পাত্রপক্ষকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছিল সে। কিন্তু তার পরেও বরযাত্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সুরেশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে স্থির হয়েছিল। নিমন্ত্রণ কার্ডও বিলি করা হয়ে গিয়েছিল। আচমকা পাত্রী বেঁকে বসায় সমস্যা তৈরি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পাত্রী নাবালিকা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement