প্রতীকী ছবি।
খুনের ব্লু-প্রিন্ট আগে থেকে তৈরি ছিল। সেই মতো অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন বালিশের নীচে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তা নিয়ে স্ত্রীর উপর চড়াও হন বছর ছাব্বিশের যুবক। ছুরির কোপে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। এর পর দেহটি লেপে মুড়ে ডিভানের মধ্যে লুকিয়ে ফেলেন অভিযুক্ত।
পরিকল্পনা মতো কাজ সম্পূর্ণ করে সেখান থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। লুকিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরে নিজের গ্রামে। ছক ছিল, এ ভাবে কিছু দিন থাকার পর নেপালে পালিয়ে যাওয়ার। যদিও শেষ রক্ষা হল না। স্ত্রী মারিয়া মাসিন ওরফে সবিতা মেহরাকে খুনের অভিযোগে ১১ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন দিল্লির তুঘলকাবাদের বাসিন্দা সুরেশ সিংহ। মারিয়া ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী।
পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট সুরেশের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় মারিয়ার। ২০১২ সালে প্রথম দেখা হয় তাঁদের। তার পর ২০১৩ সাল থেকে দেহরাদূনে এক সঙ্গে থাকতেন তাঁরা।
২০১৫ সালে সুরেশের পরিবার তাঁর বিয়ে ঠিক করে। সেই মতো লতা নামে উত্তরাখণ্ডে নিজের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সুরেশের। লতার সঙ্গে বিয়ের দিন পনেরোর মধ্যেই পুরনো লিভ ইন পার্টনার মারিয়াকে দেহরাদূনের আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন সুরেশ। বিয়ের পর খ্রিস্টান মারিয়া নাম বদলে হন সবিতা মেহরা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রশ্নে জাপানের হাত ধরতে চায় ভারত
তার পর থেকে বছর দু’য়েক সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ২০১৭ সালে মারিয়া ওরফে সবিতার পরিচয় জানতে পারেন লতা। সেই থেকে শুরু হয় সুরেশের পরিবারে অশান্তি। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার চিন্ময় বিসওয়াল জানিয়েছেন, জেরার স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন সুরেশ। অভিযুক্ত আরও জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রী লতার সঙ্গে থাকার জন্য বাধ্য হয় তিনি সবিতাকে খুন করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি অর্থে ৫০ হাজার টাকার চশমা! বিতর্কে কেরলের স্পিকার
পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন তুঘলক রোডের বাড়িতে কাউকে না দেখতে পেয়ে সন্দেহ নয় স্থানীয়দের। তারাই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। এর পর দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ। তল্লাশির সময় খাটের বাক্স থেকে পাওয়া যায় সবিতার দেহ। শুরু হয় সুরেশের খোঁজ। অবশেষে ১১ দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা সুরেশকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের একটি দল।