—প্রতীকী চিত্র।
লিভ ইন সঙ্গী মারা যাওয়ার পর দিনের পর দিন তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। রাজস্থানের কোটার ঘটনা। ৩৩ বছরের ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ বছরের এক মেয়েকে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। অভিযোগকারিণী পুলিশের কাছে দাবি করে সে শারীরিক নির্যাতনের শিকার। তার আঙুল ওঠে মায়ের লিভ ইন সঙ্গীর দিকে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে উঠে আসে, অভিযোগকারিণীর বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার মা এক যুবকের সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন। তবে বছর পাঁচেক পর ওই মহিলা আত্মহত্যা করেন। অভিযোগ, তার পরই সঙ্গিনীর মেয়েকে যৌন নির্যাতন করতে শুরু করেন ওই যুবক। অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে এক দিন লুকিয়ে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে মামার কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয় নাবালিকা। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়। অভিযোগ দায়েরের পর দিনই গ্রেফতার হন অভিযুক্ত।
শনিবার রাজস্থানের একটি নিম্ন আদালত প্রতাপ সিংহ নামে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে এবং ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর বিচারক সাজা ঘোষণা করেছেন। দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।