প্রতীকী ছবি।
জঙ্গলে গিয়েছিলেন পুজোর হোমের জন্য কাঠ কুড়োতে। কিন্তু এ কি বিপত্তি! গাছের মগডাল থেকে উড়ে আসছে পরের পর ইট। উপরে তাকাতেই মাথায় পড়ল একটা। পালানোর আগেই বৃষ্টির মতো ঝরে পড়তে শুরু করে ইট। ইটবৃষ্টিতে কাবু হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন ৭২ বছরের বৃদ্ধ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ধর্মপাল সিংহকে।
কিন্তু কারা এই ‘দুষ্কৃতী’? অভিনব কৌশলে এই হামলার নেপথ্যে কারা?
তদন্তে জানা যায়, এই ‘খুনি’ আসলে একদল বাঁদর। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বাঘপত জেলার টিকরি গ্রামের। পবনপুত্রদের অত্যাচারে ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেই এলাকায় শোকের ছায়া। মৃতের ভাই জানিয়েছেন, অন্তত ২০টি ইট তার দাদার গায়ে লেগেছে। মাথা, পিঠ, ঘাড়, বুক, পা, হাত— কার্যত শরীরের কোনও অংশই বাদ নেই।
কিন্তু গোটা এই ঘটনায় মহা ফাঁপড়ে পড়েছে পুলিশ। পবন পুত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চান ধর্মপালের পরিবার। পুলিশই বা সেই নালিশ লিপিবদ্ধ করবে কী করে? ভারতীয় দণ্ডবিধিতে সে রকম কোনও ধারাই তো নেই!
আরও পডু়ন: পুলিশ পিটিয়ে শিরোনামে বিজেপি নেতা, দেখুন সেই ভিডিয়ো
তাই আপাতত দুর্ঘটনা বলে একটি জেনারেল ডায়েরি করেছে। দোঘাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার চিত্তন সিংহ বলেন, ‘‘কার বিরুদ্ধে কেস করব? আর বাঁদরকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলে এবং সেই মামলা আদালতে উঠলে তো আমরা হাসির খোরাক হয়ে যাব।’’
আরও পডু়ন: রেল, প্রশাসন নাকি উদ্যোক্তা, অমৃতসরে কার অপদার্থতার বলি হলেন এত মানুষ
কিন্তু ধর্মপালের পরিবার সে স্তোক বাক্যে ভোলবার নয়। তাঁদের এক গোঁ, এফআইআর করতেই হবে। পুলিশকর্তারাও শেষমেশ আইনের মোটা মোটা বই ঘেঁটে বার করার চেষ্টা করছেন, সত্যি কোনও ধারায় বাঁদরামির শাস্তি দিতে বাঁদরকুলকে আদালতের কাঠগড়া পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায় কি না। একই সঙ্গে চলছে ধর্মপালের পরিবারকে নিরস্ত করার চেষ্টাও।