প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক্সপ্রেস ট্রেনে সফর করছিলেন এক দম্পতি। সফরের সময়ে ট্রেনেই মৃত্যু হয় স্বামীর। পাশে বসে থাকা স্ত্রী টেরই পাননি যে, স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ঘুমের ঘোরেই। ওই অবস্থাতেই স্বামীর পাশে বসে ১৩ ঘণ্টা সফর করেন মহিলা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার। রেলপুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি গুজরাতের আমদাবাদের বাসিন্দা। নাম রাজকুমার।
রেলপুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যা যাওয়ার জন্য স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাবরমতী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন রাজকুমার। সংরক্ষিত কামরায় তাঁদের আসন ছিল। রাতে ট্রেনে ওঠায় খাওয়াদাওয়া করে সন্তানরা যে যার আসনে চলে যায়। তবে রাজকুমারের পাশেই বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রেমা। তিনি জানান, কিছু ক্ষণ গল্প করার পর রাজকুমার শুয়ে পড়েন। তাঁর পাশেই বসে ছিলেন তিনি। ঘুমের মধ্যেই রাজকুমারের মৃত্যু হয়। সকাল ৮টার সময় ট্রেন অযোধ্যা পৌঁছলে রাজকুমারকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু না ওঠায় সন্দেহ হয় তাঁর। ট্রেন তখন বীরাঙ্গনা লক্ষ্মীবাই স্টেশনে দাঁড়িয়ে।
এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়। ট্রেনের সহযাত্রীদের সহযোগিতায় রেলপুলিশে খবর দেন মহিলা। চিকিৎসকও নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে রাজকুমারের। তাঁর স্ত্রী প্রেমা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও স্বামী উঠছিলেন না। তাঁর শরীরও গরম ছিল। ফলে আঁচ করতে পারেননি কী ঘটে গিয়েছে। কয়েক বার ডাকার পরেও সাড়া না পেয়ে আর বিরক্ত করতে চাননি।
রাজকুমারের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছিলেন রাজকুমার। তাঁর চিকিৎসা করাতে অযোধ্যা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ট্রেনের মধ্যে কখন মৃত্যু হয়েছে কেউ টের পাননি।