বাটর ঘরে কুকুরছানার সঙ্গে অভিজিৎ। নিজস্ব চিত্র
চলতি নাম তার বোকা বাক্স। কিন্তু তাকেই ভোল বদলে স্মার্ট বাড়ি বানিয়ে দিলেন শিবসাগরের যুবক অভিজিৎ দুয়ারা! পশুপ্রেমী অভিজিৎ গত কয়েক বছর ধরেই পরিত্যক্ত সামগ্রী থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ভাবন করে চলেছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল ‘বাটর ঘর’। বাংলায় যার অর্থ পথের ঘর। এই ঘর রাস্তার পশুদের জন্য।
অভিজিৎকে এলাকায় সকলেই একডাকে চেনেন। কারণ, কোনও বাড়ির পুরনো কোনও সামগ্রী ফেলতে গেলেই হাসিমুখ ছেলেটি দরজায় দাঁড়ায়। পরম যত্নে বাইকের পিছনে বেঁধে নিয়ে যায় ফেলে দেওয়া জিনিস। বলা যায় না, তা থেকেই হয়ত কাজের কোনও জিনিস মাথা খাটিয়ে বের করে ফেলা যাবে। এ ভাবেই তাঁর ঘরে জমে ছিল সাতটি পুরনো টিভি।
কিছুদিন আগে রাতে রাস্তায় ঘোরার সময় তিনি দেখেন, ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে রাস্তার কুকুররা। কোনও ছাউনি নেই তাদের। মাথায় বুদ্ধি এল তাঁর। বাড়ি এসে পুরনো টিভিগুলির ভিতরের যন্ত্রপাতি বের করে সেগুলিকে কুকুর থাকার উপযোগী ঘরের চেহারা দেন তিনি। তারপর ভিতরে পাতেন নরম চাদরের বিছানা। সবুজ ও হলুদ রঙ করে দেন টিভিঘরগুলিকে। নাম দেন ‘বাটর ঘর’।
আরও পড়ুন: আরএসএস দফতরে ফাইল হাতে প্রাক্তন ডিজি, সাক্ষাৎ ভাগবতের সঙ্গে
একে একে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ‘বাটর ঘর’ বসান ৩২ বছরের অভিজিৎ। সেই সঙ্গে কুকুরদের খাবার দেওয়াও শুরু করেন। সঙ্গে জুটে যান পশুপ্রেমী বন্ধুরাও। শহর ঘুরে এমন আরও পরিত্যক্ত বোকা বাক্স জোগাড় করছেন তিনি। তৈরি হচ্ছে একের পর এক ‘বাটর ঘর’।
এর আগে ফুকন নগরের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করেছেন ইনকিউবেটর, ইনভার্টার, স্যানিটাইজ় করার বিশেষ সাইকেল-সহ প্রায় ৫০টি জিনিস। তা জনপ্রিয়ও হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৭৫ লক্ষ চাকরি, প্রতিশ্রুতি বিজেপির, ‘ভাঁওতা’ বলছে তৃণমূল-বাম-কং
পথের কুকুরদের জন্য তৈরি অভিজিতের অভিনব ঘর দেখে মুগ্ধ অতিরিক্ত জেলাশাসক আল আজহার আলি বলেন, “ওই যুবক খুবই ভাল কাজ করছেন। আমরাও এই উদ্যোগে সাধ্যমতো সাহায্য করব।”