প্রতীকী ছবি।
ক্যামেরা চালু করে তার সামনে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হল রাজস্থানে। তারপর তাঁর বাড়ির সামনে মৃতদেহটি ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। পরে খুনের ভিডিয়োটিও ছড়িয়ে দেওয়া হল নেটমাধ্যমে।
রাজস্থানের প্রেমপুরা গ্রামের এই ঘটনায় রাজস্থান সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারকে বিদ্ধ করে তিনি বলেন, ‘‘একজন যুবককে প্রকাশ্যে খুন করা হল রাজস্থানে। দুষ্কৃতীরা এই সাহস পায় কী করে! আসলে রাজস্থানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। রাজস্থানের সরকার শুধু নামের সরকার। কাজের সরকার নয়। তারা শুধু ভাবে নিজেদের মসনদ কী ভাবে বাঁচাবে, আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কী ভাবে খুশি রাখবে।’’
প্রেমপুরার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম জগদীশ মেঘাওয়াল। গ্রামেরই এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর গোপন প্রেমের সম্পর্কে ছিল বলে অভিযোগ। সেই ‘নিষিদ্ধ’ প্রেমের শাস্তি দিতেই তাঁকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি প্রেমপুরার বাসিন্দাদের।
নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োর একটি দৃশ্য।
নেটমাধ্যমে তাঁর উপর অত্যাচারের যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে অন্তত ছ’জন লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছেন জগদীশের উপর। তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে। এর মধ্যে একজনকে জগদীশের গলায় হাঁটু মুড়ে চেপে বসতেও দেখা যায়। সেই অবস্থাতে যুবকের উপর লাঠির ঘা পড়তে থাকে অবিরাম। একটা সময়ের পর নিথর হয়ে যায় জগদীশের দেহ।
ভিডিয়োটি দেখার পর জগদীশের দেহ নিয়ে হনুমানগড় থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন প্রেমপুরার বাসিন্দারা। জগদীশের হত্যাকারীদের গ্রেফাতার না করা হলে শেষকৃত্য করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা। পরে থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন জগদীশের বাবা বনওয়ারিলাল মেঘাওয়াল। পুলিশকে তিনি জানান, দু’টি বাইকে ছ’জন এসে তাঁর বাড়ির সামনে ছুড়ে ফেলে দিয়ে যায়। তিনিই প্রথম ছেলেকে দেখেন। কিন্তু তখন জগদীশ মারা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকারীদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধান চলছে। পুলিশকে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, হত্যাকারীদের মধ্যে জগদীশের প্রেমিকার স্বামীও ছিল। তবে ধৃতদের মধ্যে তিনিও আছেন কি না, তা জানা যায়নি।