প্রতীকী ছবি।
দুই প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল ওড়িশার এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রদ্যুম্ন কুমার দাস। তাঁর সঙ্গে রোজ়ি পাত্র এবং এজিন্টা ভুইয়াঁ নামে দুই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাচক্রে, এই দুই তরুণী আবার পরস্পরকে চেনেন এবং একসঙ্গে একই ওষুধের দোকানে কাজ করেন। রোজ়ি এবং এজিন্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রদ্যুম্নের স্ত্রী শুভশ্রী। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিন জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় প্রদ্যুম্ন জানিয়েছেন, গত ২৮ অক্টোবর স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রেমিকা রোজ়ির বাড়িতে নিয়ে যান প্রদ্যুম্ন। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন তাঁর আর এক প্রেমিকা এজিন্টা। অভিযোগ, শুভশ্রীকে চেপে ধরে তাঁর কোমর এবং ঘাড়ে অ্যানাস্থেসিয়ার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তাতে বেহুঁশ হয়ে পড়েন শুভশ্রী। তার পরই তাঁকে নিয়ে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে পৌঁছন। কিন্তু চিকিৎসকেরা শুভশ্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তার পর ওই দিনই পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রদ্যুম্ন। স্ত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয় বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী আধিকারিক। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তকারী ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকেরা দেখতে পান মহিলার ঘাড় এবং কোমরে কালশিটে দাগ পড়েছে। পরীক্ষা করে জানা যায়, অ্যানাস্থেসিয়া প্রয়োগ করা হয়েছিল। ওভারডোজ়ের কারণেই মৃত্যু। এর পরই প্রদ্যুম্নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই প্রেমিকাকেও। জানা গিয়েছে, রোজ়ি এবং এজিন্টা ওষুধের দোকানে কাজ করতেন, তাই অ্যানাস্থেসিয়ার ইঞ্জেকশন জোগাড় করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।