ছত্তীসগঢ়ে বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগ নাতির বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
নিজের ঠাকুমাকে ‘বলি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর রক্ত মন্দিরের শিবলিঙ্গের মাথায় ছিটিয়ে দেন যুবক। তার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রাথমিক ভাবে একে ‘নরবলি’র ঘটনা হিসাবেই অনুমান করা হচ্ছে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার নন্দিনী থানা এলাকার নানকাট্টি গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বৃদ্ধার নাম রুক্মিণী গোস্বামী (৭০)। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক গুলশন গোস্বামী ঠাকুমার সঙ্গেই থাকতেন। তাঁদের বাড়িতে আর কেউ থাকতেন না। গ্রামে একটি শিবমন্দিরের পাশেই ছিল তাঁদের আস্তানা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই যুবক শিবের ভক্ত। প্রতি দিন মন্দিরে গিয়ে শিবপুজো করতেন। তবে তিনি যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন, কেউ তা ভাবতে পারেননি।
গ্রামবাসীরাই শনিবার রাতে পুলিশকে খবর দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গুলশনদের বাড়িতে একটি ত্রিশূল ছিল। ধারালো সেই ত্রিশূল দিয়েই তিনি শনিবার সন্ধ্যায় ঠাকুমাকে আক্রমণ করেছিলেন। ত্রিশূলে গেঁথে খুন করেন বৃদ্ধাকে। তার পর তাঁর রক্ত নিয়ে মন্দিরে যান এবং শিবলিঙ্গের মাথায় সেই রক্ত ছেটান। এর পর নিজের বাড়িতে ফেরেন যুবক। ওই একই ত্রিশূল দিয়ে নিজের ঘাড়েও আঘাত করেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে যুবক গুরুতর জখম অবস্থায় রায়পুর এমসে চিকিৎসাধীন।
সাব-ডিভিশনার অফিসার সঞ্জয় পুনধীন বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে, এই ঘটনা কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসের ফল। একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’