UP Incident

কনের মায়ের সঙ্গে প্রেম! বিয়ের আগে তাঁকে নিয়ে পালিয়েও গেলেন বরের বাবা, অস্বস্তিতে পরিবার

উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের এক যুগলের বিয়ে স্থির হয়েছিল। তাঁদের বাগ্‌দান পর্বও মিটে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে বরের বাবা কনের মাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

যুগলের বিয়ের আগে বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে। অনেক খুঁজেও তাঁদের হদিস মিলল না। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হল পরিবার।

Advertisement

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্চ জেলার। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে যুগলের বাগ্‌দান পর্ব সারা হয়েছিল। বাকি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারই তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান বরের বাবা। ওই একই সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কনের মায়েরও। দুই পরিবার এ নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। নানা জায়গায় দু’জনের খোঁজ করা হয়। কী থেকে কী হয়েছে, কারও সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।

প্রায় এক মাস ধরে দু’জনের খোঁজ করে পরিবার। এর পর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের বাবা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁর হবু জামাইয়ের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্তের নাম শাকিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর নিজেরই ১০ সন্তান। এ ছাড়া, ওই মহিলার আরও ছয় সন্তান রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মোট ১৬ সন্তান রেখে তাঁরা পালিয়েছেন।

Advertisement

কনের বাবা থানায় জানিয়েছেন, গত ৩ জুন থেকে তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ। একই সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে না হবু জামাইয়ের বাবাকেও। তিনি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে ধারণা অভিযোগকারীর।

তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দু’জন স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তবে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, যুগলের বাগ্‌দানের পর থেকেই বরের বাবা এবং কনের মা নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করেন। গোপনে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ক্রমে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরেই দু’জন পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ১১ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা অনুযায়ী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছেন। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি স্বেচ্ছায় না হয়ে থাকলে ওঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement