প্রতীকী ছবি।
ঋণে নেওয়া বাইকের কিস্তি মেটাতে পারছিলেন না। তাই বন্ধুকে অপহরণ করে খুনের পর দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি দিল্লির।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সচিন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিবারে আর্থিক টানাটানি চলছিল সচিনের। সংসার টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে। মাথার উপর ধারের বোঝাও বেড়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ঋণে কেনা বাইকের কিস্তির টাকাও দিতে পারছিলেন না ঠিক করে। ফলে ব্যাঙ্কেরও চাপ ছিল। এই পরিস্থিতি থেকে কী ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন সচিন।
একটি উপায়ও বার করেন তিনি। দিন পনেরো আগে অরুণ নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে সংসারের পরিস্থিতি, বাইকের কিস্তি না দিতে পারা ইত্যাদি জানান। সচিন এবং অরুণের এক বন্ধু নিতিনের বাড়ি উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। একটু অবস্থাপন্ন হওয়ায় তাঁকেই শিকার বানানোর পরিকল্পনা করেন সচিন। এ কথা অরুণকেও জানান তিনি। সচিনের বিশ্বাস ছিল, নিতিনকে যদি অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া যায়, তা হলে অনায়াসেই দু’লক্ষ টাকা পেয়ে যাবেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই পরিরল্পনা মতো গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিতিনকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান সচিন। অরুণও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার পর তাঁরা তিন জন মিলে গাজ়িয়াবাদে একটি মদের দোকানে যান। সেখান থেকে মদ কেনার পর তাঁরা রেললাইনের ধারে গিয়ে মদ্যপান করেন। মদের আসর শেষে তাঁরা যখন আবার দিল্লি ফিরছিলেন, সেই সময় নিতিনের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান সচিন এবং অরুণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিতিনের। তার পর তাঁর দেহ একটি জঙ্গলে ফেলে দেন। পর দিন তাঁরা দু’জনে নিতিনের দিদিকে ফোন করেন এবং জানান, তাঁর ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে। দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন। নিতিনের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে, আঁচ করতে পেরেই দিল্লি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন সচিন এবং অরুণ। রাজস্থানের গঙ্গানগর থেকে সচিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার হন অরুণ। নিতিনের দেহ উদ্ধার হয় গাজ়িয়াবাদের একটি জঙ্গল থেকে।