পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি, পুজো দিয়ে বেরিয়ে এমনই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মন্দিরে ঢোকেন তিনি। পুজো দিয়ে বেরিয়ে জানান— কোনও সমস্যা হয়নি, মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্বাগতই জানিয়েছে।
তবে পুরোপুরি নির্বিঘ্ন রইল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পুরী সফর। মন্দিরে ঢোকার সময় ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি শুনতে হল মমতাকে। ফেরার সময়ও দেখানো হয় কালো পতাকা। এই বিক্ষোভ বিজেপির তৈরি করা, অভিযোগ তৃণমূলের একাংশের।
সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে বিকেল ৫টা ৫০ নাগাদ জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ভ্রাতৃবধূ লতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মন্দিরের সামনাসামনি পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিক্ষোভের মুখ দেখতে হয় বলে খবর। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়, ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা কেউ দিতে পারেননি বলেই খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো দেওয়ার সময় মন্দিরের দ্বৈতাপতি তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। —ফাইল চিত্র।
জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি নিজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। তাঁর উপস্থিতিতেই পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিয়ে বেরিয়ে মমতা জানান, কোনও সমস্যা হয়নি, কেউ বিক্ষোভ দেখাননি, সেবাইতরা সহযোগিতাই করেছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় যখন মন্দির থেকে পুরী সার্কিট হাউসের দিকে ফিরছিল, তখন ফের বিক্ষোভ হয় বলে খবর। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে কয়েক জন কনভয়ের সামনে চলে আসেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবরি কাণ্ডে আডবাণী-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা বহাল
তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপি ওই বিক্ষোভ করিয়েছে। বিক্ষোভে শুধু কালো পতাকা নয়, বিজেপি-র পতাকাও ছিল বলে তৃণমূলের অভিযোগ। দুই বিক্ষোভকারীকে পুরী পুলিশ আটকও করেছে।