পহেলগাঁওকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
সীমান্ত এলাকা। ভারতীয় সেনার নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটে গেল? প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভেবে পাচ্ছি না, এত ক্ষণ ধরে বেছে বেছে মারল! যেগুলো আমরা শুনতে পাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি... ওখানে তো অনেক আর্মি (সেনা) ছিল। এমনিতে তো সীমান্ত এলাকা। স্পর্শকাতর এলাকা। যাই হোক, এ সব নিয়ে এখন কথা বলব না।’’
বুধবার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই হাসপাতালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভর্তি রয়েছেন। তাঁকেই দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে বাইরে বেরিয়ে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘‘আমরা গোটা ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। কী হয়েছে, না-হয়েছে পরে দেখব। জঙ্গিদের কোনও জাত-ধর্ম হয় না। এরা একটা ক্লাস (শ্রেণি)। এদের ক্ষমাও করা য়ায় না।’’
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ, পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্রের। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের দেহ এ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে সকালেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার বাসিন্দার দেহ আসবে রাঁচী দিয়ে। বাকি দু’জনের দেহ আসবে কলকাতায়। সাড়ে ৮টার আগেই পৌঁছে যাওয়ার কথা। দিল্লি থেকে (দুপুর) ২টো নাগাদ বিমানে তোলা হয়েছিল। অরূপ রায়, ফিরহাদ হাকিমেরা থাকবে। ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। শুধু পুরুলিয়ার বাসিন্দার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। সেটা হয়ে ওঠেনি।’’