প্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ি।
সুরকার, গায়ক বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে শোকবার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মমতা লেখেন, ‘কিংবদন্তি সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি (অলোকেশ লাহিড়ি)-র প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। উত্তরবঙ্গের সন্তান আমাদের বাপ্পি লাহিড়ি অসামান্য প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমে সর্বভারতীয় খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর সাঙ্গীতিক অবদানের মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অবিস্মরণীয় সুরের জাদুতে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। হিন্দি, বাংলা ছাড়াও তিনি তেলুগু, তামিল, কন্নড়-সহ বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রের গানে সুর দিয়েছেন।’
তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলেও মমতা শোকবার্তায় জানিয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পীর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতিও তিনি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
টুইটারে বাপ্পির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। টুইট বার্তায় তিনি জানান, ‘বাপ্পি লাহিড়ির গানগুলি খুবই আবেগতাড়িত। বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাঁর গানগুলির সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারবেন। তাঁর প্রাণবন্ত চরিত্র কেউ কোনও দিন ভুলতে পারবেন না।’
টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, ‘কিংবদন্তি গায়ক এবং সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুসংবাদে আমি শোকাহত। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। বাপ্পিদা তাঁর বহুমুখী গানের প্রতিভা এবং প্রাণবন্ত প্রকৃতির জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও টুইটারে শোকবার্তা দিয়ে বলেন, ‘বাপ্পি লাহিড়ি এক জন অসামান্য সঙ্গীতশিল্পী এবং সুরকার ছিলেন। দেশের বাইরেও তাঁর গান খুবই জনপ্রিয় ছিল। তাঁর গানগুলিতে তারুণ্যের পাশাপাশি প্রাণ জুড়োনো সুরও ছিল। তাঁর গানগুলি দীর্ঘ সময় ধরে মানুষকে মুগ্ধ করবে।’
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাপ্পি লাহিড়িকে ২০১২ সালে ‘বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার’, ২০১৫ স্পেশ্যাল লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড, ২০১৬ সালে ‘মহানায়ক সম্মান'’ ও ২০১৭ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত করে।