ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদ, উন্নাওয়ের সঙ্গে লোকসভায় একই সারিতে উঠে এল মালদহের ঘটনাও। আজ লোকসভায় হায়দরাবাদ-উন্নাও নিয়ে আলোচনায় মালদহের একটি আমবাগানে পাওয়া অগ্নিদগ্ধ ও অর্ধনগ্ন মহিলাদের মৃতদেহ পাওয়ার ঘটনা নিয়ে সরব হন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। যে বিতর্ককে ঘিরে রীতিমতো হাতাহাতি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় কংগ্রেস ও শাসক শিবিরের সাংসদদের মধ্যে।
হায়দরাবাদ-উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। অথচ, সীতাকে জ্বালিয়ে মারা হচ্ছে।’’ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে অধীর বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ তো উত্তম প্রদেশ হওয়ার পরিবর্তে অধম প্রদেশে পরিণত হচ্ছে।’’ স্মৃতিও পাল্টা আক্রমণ শানান। বলেন, ‘‘অধীরবাবু, নিজের রাজ্যের মালদহের হওয়া ঘটনা নিয়ে চুপ কেন?’’
অধীরকে আক্রমণ শানাতেই স্মৃতির দিকে তেড়ে যান কংগ্রেসের দুই সাংসদ টি এন প্রতাপন ও ডিয়ান কুরিকোস। কেন ওই কথা বলছেন, তা নিয়ে স্মৃতির জবাবদিহি চেয়ে বসেন এক সাংসদ। ইরানি পাল্টা বলেন, ‘‘এক জন মহিলা হিসেবেই ওই কথা বলছি।’’ কংগ্রেস সাংসদদের মারমুখী আচরণ দেখে তাঁদের আটকাতে এগিয়ে আসেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁদের অভিযোগ, দুই কংগ্রেস সাংসদকে উস্কানি দিয়েছেন তৃণমূলের সৌগত রায়। বলতে বাধা দেওয়ায় গলা চড়ান স্মৃতিও। অধীরের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন, পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিমবঙ্গে যখন ধর্ষণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তখন কেন চুপ ছিলেন তিনি? স্মৃতির বক্তব্য চলাকালীন দু’দলের সাংসদদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতির তৈরি হওয়ায় লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন ডেপুটি স্পিকার মীনাক্ষি লেখি। তার পরেও অবশ্য কিছু ক্ষণ উত্তেজনা বজায় থাকে লোকসভার কক্ষে।
পরে স্মৃতির বক্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘উন্নাওয়ের সঙ্গে মালদহের তুলনা চলতে পারে না। মালদহের ঘটনায় তিন দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।’’ স্মৃতির নাম না করে ডেরেক বলেন, ‘‘মুম্বইয়ের প্রাক্তন বাসিন্দা, গুজরাতের সাংসদ এবং পরে উত্তরপ্রদেশের লোকসভা সদস্যের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে জ্ঞান শুনব না। আর পশ্চিমবঙ্গের যে ১৮ জন বিজেপি সাংসদের থেকে তিনি জ্ঞান আহরণ করছেন, তাঁদের বোধবুদ্ধি নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।’’