প্রবীণ বিজেপি সাংসদ তথা বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা সাংবাদিকের যৌন নিগ্রহের অভিযোগের ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী মেনকা গাঁধী। আজ এক সাক্ষাৎকারে মেনকা বলেন, ‘‘অবশ্যই তদন্ত করা উচিত। যে সব পুরুষের হাতে ক্ষমতা থাকে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।’’ তবে আকবরের ইস্তফা দেওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মেনকা।
আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আজ উত্তাল ছিল রাজধানীর রাজনৈতিক শিবির। মেনকা গাঁধী ছাড়া বিজেপির কোনও মন্ত্রীই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। আজ একটি অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘আপনি এক জন মহিলা মন্ত্রী। যৌন হেনস্থার এই অভিযোগ নিয়ে কি কোনও তদন্ত করা হবে?” তিনি একটিও বাক্যব্যয় না করে স্থানত্যাগ করেন। আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের ফলে নির্বাচনের আগে সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা কালিমালিপ্ত হল কি না, এই প্রশ্নেরও কোনও উত্তর আসেনি সরকারের শীর্ষ শিবির থেকে। বিদেশ মন্ত্রকের কাছে এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মুখ খোলেননি মুখপাত্র।
বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামতে দেরি করেনি কংগ্রেস। আজ কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর জবাব দিন। চুপ করে থাকাটা কোনও পথ নয়। গোটা বিষয়টির একটা তদন্ত হওয়া উচিত। শুধু মন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রীও এর জবাব দিন।’’ সূত্রের খবর, আকবর এখন রয়েছেন নাইজিরিয়ায়। জানা গিয়েছে, সেখানে একটি আলোচনা চক্রে মহিলা সশক্তিকরণ নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দারিদ্র দূরীকরণের সব চেয়ে ভাল উপায় হল মহিলা সশক্তিকরণ। যদি নারী শক্তির উপর বিনিয়োগ করা যায়, তা হলে তা ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করে।