ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ধর্মান্তরণের লক্ষ্যে যে ধর্মীয় সমাবেশ হয়ে চলেছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। এমনকি এ-ও বলল যে, এমন চলতে থাকলে সংখ্যাগুরুরাই এক দিন সংখ্যালঘুতে পরিণত হবেন।
গত কাল হাই কোর্টে জনৈক কৈলাসের জামিনে আবেদনের শুনানি চলছিল। কৈলাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর থেকে বেশ কিছু লোককে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন ধর্মান্তরণের জন্য। যেমন রামকলি প্রজাপতির ভাই রামফল। রামফল মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার নাম করে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ, কিন্তু তিনি আর ফেরেননি। এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, হামিরপুর থেকে অনেকেই দিল্লি গিয়ে আর ফেরেননি। তাঁদের খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল পি কে গিরিও আদালতে দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশের বড় সংখ্যক মানুষকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। কৈলাসের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, রামফলকে মোটেই ধর্মান্তরিত করা হয়নি। তিনি শুধু খ্রিস্টানদের একটি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মাত্র। বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল তখন বলেন, সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে সবাইকে ধর্মাচরণের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্মান্তর করানোর অধিকার দেওয়া হয়নি। বিচারপতির নির্দেশেও লেখা হয়েছে, ‘ধর্ম প্রচার করা এক জিনিস। তার মানে ধর্মান্তর করা নয়। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষা দেওয়ার শিবির চলছে। এ ভাবে চললে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হবেন। এই জাতীয় সমাবেশ বন্ধ হওয়া দরকার’।