শামসুল হুদা
একাধিক রেল নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইএসআই এজেন্ট শামসুল হুদাকে গ্রেফতার করল নেপাল পুলিশ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কানপুরের কাছে পটনা-ইনদওর, শিয়ালদহ-অজমের দুর্ঘটনা ছা়ড়াও পূর্ব চম্পারণের কাছে রেললাইনে আইইডি রাখার অভিযোগ রয়েছে। নেপাল পুলিশ জানিয়েছে, ইন্টারপোলের তালিকায় থাকা নেপালের নাগরিক হুদা দুবাইতে আত্মগোপন করে ছিল। দুবাই প্রশাসন হুদা-সহ আরও চার অভিযুক্তকে গত কাল নেপালে ফেরত পাঠায়। তাদের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ।
দাউদ ইব্রাহিম এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মিলিত ষড়যন্ত্রে পটনা-ইনদওর ও শিয়ালদহ-অজমের এক্সপ্রেস কানপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে দাবি করেছিল বিহার পুলিশ। এরপরেই পূর্ব চম্পারণের কাছে রেললাইনে আইইডি রাখা, ইনদওর-পটনা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা ও কোনেরু ট্রেন দুর্ঘটনা—সব ক’টিরই তদন্তের দায়িত্ব হাতে নেয় এনআইএ। হুদাদের জেরা করার জন্য এনআইএ নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এনআইএ সূত্রে জানানো হয়েছে, হুদার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ব্রিজকিশোর গিরি, আশিস সিংহ এবং উমেশকুমার কুর্মিকে।
নেপালের বরা জেলায় জোড়া খুনের চক্রীও এই হুদা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অপরাধ গোষ্ঠীর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। ভারত ও নেপালে একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে তার। পুলিশের দাবি, ভারতের রেললাইনগুলিতে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানে দাউদ ইব্রাহিমের মাধ্যমে দুবাইয়ের আইএসআই এজেন্ট শামসুল হুদার কাছে টাকা পৌঁছেছিল। গত জানুয়ারিতে বিহার পুলিশ তিন জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল। খুনের তদন্তে নেমে দেখা যায়, মোতিলাল পাসোয়ান, উমাশঙ্কর পটেল এবং মুকেশ যাদব নামে ওই তিন জন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে ভারতীয় রেলে নাশকতা ঘটানোর কাজে সক্রিয় ছিল। বিহার পুলিশের দাবি, ওই তিন জনকে নেপালের আর এক ব্যক্তি তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিল যার সঙ্গে হুদার যোগাযোগ ছিল। গোটা বিষয়টিতে হুদার ভূমিকা ও হুদার মাধ্যমে দাউদ ও আইএসআই কী ভাবে রেলে নাশকতা ঘটাতে সক্রিয় রয়েছে তা এখন খতিয়ে দেখছে এনআইএ।