চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মরাঠাদের সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। সম্প্রতি রাজ্যের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি সংক্রান্ত কমিশন এক রিপোর্টে মরাঠাদের সংরক্ষণ দেওয়ার
Devendra Fadnavis
সুপারিশ করে। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, কমিশনের সুপারিশ মেনে নিয়েছে সরকার। মরাঠাদের সংরক্ষণ দিতে ‘সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি’ নামে একটি নয়া শ্রেণি তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।
মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী মরাঠা সম্প্রদায়ভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরেই মরাঠা সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে রাজ্যে। জুলাই-অগস্টে এই আন্দোলনের জেরে হিংসাও দেখেছে মহারাষ্ট্র।
মহারাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কমিশন তাদের রিপোর্টে জানায়, মরাঠারা সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি। ওই সম্প্রদায়ের জন্য ‘সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি’ (এসইবিসি) নামে একটি নতুন শ্রেণি তৈরিরও সুপারিশ করে তারা। সেই সুপারিশ মেনে নিয়েছে সরকার। ফডণবীস জানিয়েছেন, মরাঠাদের কত শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে তা স্থির করবে মন্ত্রিসভার একটি কমিটি। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে।
সরকারি সূত্রের দাবি, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংবিধানের ১৫(৪) ও ১৬(৪) ধারায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। মহারাষ্ট্র সরকারের এক কর্তার কথায়, ‘‘মরাঠাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে কমিশন জানিয়েছে, তাঁরা এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। তাই সরকারকে পদক্ষেপ করতেই হবে।’’
কোনও ক্ষেত্রে সংরক্ষণের জন্য ৫০ শতাংশের সীমারেখা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা হলে মহারাষ্ট্র সেই সীমা ছা়ড়িয়ে যাবে কি? ফডণবীসের বক্তব্য, ‘‘তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। কিন্তু সেই সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়নি। আমরা মরাঠাদের সংরক্ষণের সুবিধে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’