(বাঁ দিকে) ঝাঁপ দেওয়ার সেই মুহূর্ত। মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের সচিবালয় ভবনের চার তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ওই রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা এনসিপি বিধায়ক নরহরি জিরওয়াল। তবে জাল থাকায় অল্পের জন্য বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি। কেবল ডেপুটি স্পিকারই নন, একই ভাবে ঝাঁপ দেন মহারাষ্ট্রের দুই আদিবাসী বিধায়কও। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবেই তাঁরা ঝাঁপ দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্যের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতি (এসটি)-র অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। স্লোগান দিতে দিতে হঠাৎই তাঁরা সচিবালয়ের চার তলা থেকে ঝাঁপ দেন। তবে তিন জনেই জালে আটকে যান। কারও তেমন আঘাত লাগেনি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তিন জনকেই নিরাপদে জাল থেকে উদ্ধার করেছে। প্রসঙ্গত, ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা রুখতে ২০১৮ সালেই সচিবালয় চত্বরে জাল লাগানো হয়।
মূলত পশ্চিম মহারাষ্ট্র এবং মরাঠাওয়াড়া অঞ্চলে ধাঙড় গোষ্ঠীর বসবাস। কয়েক বছর ধরেই তাঁরা সরকারের কাছে তফসিলি জনজাতির তকমা চেয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন। গত মাসেই ধাঙড় গোষ্ঠীর এক নেতা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হলে তাঁদেরও শিন্ডেকে প্রয়োজন নেই। চলতি বছরের শেষেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।