ফাইল চিত্র।
উদ্ধব বনাম শিন্ডে বাহিনীর সঙ্ঘাত এ বার নয়া মোড় নিতে চলেছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, আস্থা ভোটের দিকে পা বাড়াতে পারেন একনাথ শিন্ডেরা। এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির দ্বারস্থও হতে পারেন তাঁরা। বিদ্রোহীদের বিধায়ক পদ ১১ জুলাই পর্যন্ত খারিজ করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশিকার পর শিন্ডে শিবির অনেকটা অক্সিজেন পেয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মনে করা হচ্ছে, এর পরই আস্থা ভোটের দাবি জানাতে পারেন তাঁরা।
তবে কি বল এখন রাজ্যপালের কোর্টে? সূত্রের খবর, যদি কোনও পক্ষ আস্থা ভোটের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়, তবে তিনি তা করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টে ২০১৬ সালের নবম রাবিয়া বনাম অরুণাচল প্রদেশের স্পিকার মামলার রায় অনুযায়ী, শুনানি প্রক্রিয়ার মধ্যেই রাজ্যপাল আস্থা ভোট করতে পারবেন। যদি কোনও পক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানান রাজ্যপালের কাছে, তা হলেও তিনি আস্থা ভোট করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হলেও মহারাষ্ট্র বিধানসভা সম্পর্কিত যে কোনও ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে পারেন রাজ্যপাল। আস্থা ভোট ছাড়াও ৩৫৫ অনুচ্ছেদের অধীনে বর্তমান শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতি। তবে এ জন্য উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে।
অন্য দিকে, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি। উল্লেখ্য, কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপির হাত ধরার দাবি জানিয়েছেন বিদ্রোহীরা। সঙ্কটের মধ্যে গুয়াহাটি থেকে বডোদরা গিয়ে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে দেখা করেছেন একনাথ। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি অনাস্থা প্রস্তাব আনলে, তা এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলেই ধারণা।