প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে রসায়নবিদকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এ বার পুলিশ কমিশনারকে কাঠগড়ায় তুললেন সাংসদ নবনীত রানা। এই হত্যাকাণ্ডকে 'ডাকাতির ঘটনা' বলে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার আরতি সিংহ। এমনই অভিযোগ করেছেন অমরাবতীর সাংসদ।
এই প্রসঙ্গে নবনীত বলেছেন, ‘‘১২ দিন পর তিনি (পুলিশ কমিশনার) ঘটনাটি সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন... বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রথমে বলেছিলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা। অমরাবতীর পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত।’’ সাংসদ আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন। তার পরই এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিজেপির সাসপেন্ডেড (নিলম্বিত) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে নেটমাধ্যমে পোস্ট করার ‘অপরাধে’ ৫৪ বছর বয়সি প্রহ্লাদরাও কোলহেকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনার মূলচক্রী ইরফান খান-সহ সাত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অমরাবতীর ডিসিপি (ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ) বিক্রম সালি বলেছেন, ‘‘নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন কোলহে। তার জেরেই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে তাঁকে খুন করা হয়।’’
অমরাবতীর কোতোয়ালি থানার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘অমরাবতী শহরে একটি ওষুধের দোকান চালাতেন কোলহে। নূপুর শর্মার মন্তব্যের সমর্থনে কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ওই পোস্টটি কোলহে সংখ্যালঘুদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পাঠিয়েছিলেন।’’ পুলিশের দাবি, এর পরই কোলহেকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ইরফানই ওই পরিকল্পনার মূলচক্রী।