প্রতীকী ছবি।
চাষের জমিতে এক মহিলাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হল। যন্ত্রণায় যখন ছটফট করছেন অগ্নিদগ্ধ মহিলা, তখন সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো করলেন অভিযুক্ত তিন যুবক। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলা। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশে গুণা জেলায় এক আদিবাসী মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন তিন যুবক। পুলিশ আধিকারিক পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানান, স্ত্রীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথম দেখতে পান তাঁর স্বামী অর্জুন সাহারিয়া। পুলিশকে তিনি জানান, জমির দিক থেকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, অভিযুক্ত তিন যুবক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ট্র্যাক্টরে করে পালাচ্ছেন। স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ছ’বিঘা জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই তিন যুবক। সরকারের থেকে একটি জমি পায় ওই মহিলার পরিবার। শনিবার বিকেলে সেই জমিতে জোর করে চাষাবাদ করতে যান অভিযুক্তরা। তাতে বাধা দিলে মহিলার গায়ে ডিজেল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, জমিটি আইনানুযায়ী তাঁদের সম্পত্তি।
এর পর গত ২৩ জুন নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন অর্জুন। যদিও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। জমিটি অভিযুক্তরা দখলও করে নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তা দখলমুক্ত করে স্থানীয় রাজস্ব দফতর। তার পর তা সাহারিয়া পরিবারকে ফেরানো হয়। নির্যাতিতার স্বামীর দাবি, অতীতে ওই তিন অভিযুক্ত তাঁর উপরও হামলা চালিয়েছিলেন। সে সময় এফআইআরও দায়ের করা হয়। যদিও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রতাপ, হনুমত, শ্যাম কিরার নামে তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অর্জুনের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘একটা দল দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করেছে। সেই দলের শাসনে থাকা রাজ্যেই আদিবাসী মহিলার উপর নির্মম অত্যাচার করা হল। লজ্জার ব্যাপার।’’