কমল নাথ (বাঁ দিকে) ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। —ফাইল চিত্র
কর্নাটকের পর এ বার কি মধ্যপ্রদেশ? ফের কি আর এক রাজ্য হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের? ৬ মন্ত্রী-সহ ১৬ বিধায়ক মধ্যপ্রদেশ থেকে বেঙ্গালুরুতে উড়ে যাওয়ার পর এই জল্পনা তীব্র হয়েছে। কয়েক দিন আগেই আট ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক নিরুদ্দেশ হয়েও ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এ বার সে রাজ্যের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দিল্লিতে থাকা এবং বিধায়কদের বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়ায় কমল নাথের সরকার সঙ্কটে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
গত সপ্তাহেই ভোপাল ছেড়ে দিল্লির অদূরে একটি বিলাসবহুল হোটেলে উঠেছিলেন কংগ্রেস ও নির্দল মিলিয়ে ৮ জন বিধায়ক। তখনই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। তবে সেই বিধায়করা পরে ফিরে এসেছিলেন এবং কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, সঙ্কট কেটে গিয়েছে। বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচার খেলা খেলছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন দিগ্বিজয় সিংহ।
কিন্তু সোমবার দলের ১৬ বিধায়ক উড়ে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। সূত্রের খবর, ৬ বিজেপি বিধায়কও বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক সেরে তড়িঘড়ি ভোপালে পৌঁছেছেন কমল নাথ। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর সরকারে কোনও সমস্যা নেই। অন্য দিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও দিল্লি থেকে ভোপালে যাচ্ছেন বলে একটি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: নীরব মোদীদের মতোই পরিকল্পনা ছিল! টোপ দিয়ে দেশে আনা হয়েছিল রাণা কপূরকে
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
কিন্তু সংখ্যার বিচারে এই ১৬ বিধায়ক দল ছাড়লে কমল নাথ সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের কমল নাথের হাতে এখন ১২০ বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ১১৬-র চেয়ে মাত্র চার জন বেশি। এর মধ্যে কংগ্রেসের ১১৪ জন, বিএসপি-র দু’জন, সমাজপবাদী পর্টির একজন এবং অন্যরা নির্দলের। অন্য দিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৭। দু’টি আসন খালি রয়েছে। সেই হিসেবে ম্যাজিক ফিগার ১১৫। এই ১৭ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলে পদ্ম শিবিরের পক্ষে সরকার গঠনে অসুবিধা হবে না।